Wed. Jun 18th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৫: নেকেরই ধারণা প্লাস্টিক সার্জারির 21মাধ্যমে কৃত্রিম স্তন প্রতিস্থাপন সম্পূর্ণ নিরাপদ। মূলত চিকিৎসকরা রোগীর মনে এ ধারণা বদ্ধমূল করে দেন। এমনকি অস্ত্রোপচারের পর তা সফল হয়েছে বলেও জানিয়ে দেন তারা। কিন্তু জানেন কি, ওই ‘সফল’ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আপনার শরীরে স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে ‘টাইম বোমা’! টাইম বোমার কথা শুনে আঁতকে উঠলেন? হ্যাঁ, আঁতকে ওঠার খবরই বটে। কারণ সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে আশ্বস্ত করা ওই স্তনগুলো এক সময় নষ্ট হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, এক সময় দেহের ভেতর তা নানা মারাত্মক রোগের জন্মও দেবে। কালেক্টিভ ইভাল্যুশনের বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য ওঠে এসেছে। বিভিন্ন জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়েছে, প্রতিস্থাপিত স্তনগুলো পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যেই ৫০ শতাংশ ক্ষয়ে যায়। ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এর ৯০ শতাংশই ক্ষয় হয়। অনেক সময় তা কালো ও মুটিয়ে যায়। শুধু ক্ষয় হওয়া নয়, প্রতিস্থাপিত স্তন থেকে সৃষ্টি হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী বিকলাঙ্গতা। এ ছাড়া বাত, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলাসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। এতদিন অবশ্য চিকিৎসকরা বিষয়টি স্বীকার করেননি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ সংস্থাও (এফডিএ) স্তন প্রতিস্থাপনকে নিরাপদ বলেই ঘোষণা দিয়ে আসছে। তবে এখন কয়েকজন চিকিৎসক এটি ক্ষতিকারক বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। প্লাস্টিক সার্জন সার্টিফাইড বোর্ডের সদস্য ডা. এড মেলমেড বলেন, ‘স্তন প্রতিস্থাপনে ব্যবহৃত ক্যাপসুলগুলোতে সিলিকন ব্যবহার করা হয়। একপর্যায়ে সেগুলো কীভাবে উধাও হয়ে যায় বা কোথায় চলে যায়, এ ব্যাপারে আমরা এখনো কোনো ধারণা লাভ করতে পারিনি।’ বিষয়টি উন্নত বিশ্বের নারীদের জন্য বেশ উদ্বেগজনক। কারণ ব্যয়বহুল এ পদ্ধতি উন্নত দেশগুলোতেই বেশি গ্রহণ করা হয়। বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৫০ লাখ থেকে এক কোটি নারী স্তন প্রতিস্থাপন বা এ সংক্রান্ত ক্যাপসুল গ্রহণ করে থাকেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর অন্তত তিন লাখ নারী ও কিশোরী এ পদ্ধতি গ্রহণ করেন।