খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৫: ক্ষমা পরায়ণতার চর্চা ভাল। এ কথা আমরা কম-বেশি সবাই মানি। কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় পরিস্থিতি ক্ষমার অনুকূল নয়। আসলে কি তা-ই! ‘ক্ষমা’ বললে কেউ ভেবে বসতে পারেন আগে তো ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু অভিজ্ঞতা বলে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লোকে আপনার কাছে ক্ষমা চাইবে না। সে যতই ভুল করুক বা আপনার কাছের মানুষ হোক। বন্ধু বা আরও কাছের মানুষের কাছে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা অপ্রত্যাশিত নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আপনিও চান সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখতে। সর্বোপরি আমাদের মনো-দৈহিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য ক্ষমা খুবই জরুরি। আসুন তেমন কিছু কারণ জেনে নিই- মানতেই হবে ক্ষমা করা কঠিন কাজ। কিন্তু এর মাধ্যমে শান্তি আনা সম্ভব। প্রেম বা পারিবারিক সম্পর্কের ওপরও এটি দারুণ প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া খারাপ সম্পর্ক, খারাপ ধারণা পোষণ মানেই হল বাজে অনুভূতির সঙ্গে বসবাস। যা আপনার দেহ-মনের জন্য ক্ষতিকর। কারো প্রতি বিরাগ আমাদের ফেলে দেয় নিরাপত্তাহীনতা ও উদ্বেগের মাঝে। সন্দেহ, অসুখী অবস্থা, আস্থাহীনতাসহ নানান ধরনের অসন্তুষ্টি আপনাকে ঘিরে ধরে। ক্ষমা দিতে পারে এমন নেতিবাচকতা থেকে মুক্তি। ক্ষমা পরায়ণতা দিতে পারে মুক্ত জীবনের স্বাদ। যদি আপনার ওপর কৃত অন্যায় ভুলতে না পারেন, তাহলে আপনি পুরনো দিনের শেকলে বাঁধা মানুষ মাত্র। প্রায়শই মুখোমুখি হচ্ছেন অতীতে ঘটে যাওয়া কষ্টকর মুহূর্তের, বর্তমান বসবাস করছেন না আপনি। এর কোনো মানে হয় না। জীবন বেশ ছোট। এখানে সাফল্যের মূল মন্ত্র হল সামনে এগিয়ে যাওয়া। তাই ক্ষমা করুন, অতীত থেকে শিখুন। কোনোভাবেই অতীতের অসন্তুষ্টিতে আটকে থাকবেন না। নতুন নতুন গন্তব্য তৈরি করুন। সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যান। নিজেকে ভিকটিম মনে করাও নিজের ওপর অত্যাচারের মতো। আপনি নিজেকে সুপিরিয়র ভাবেন। একমাত্র নিজেকেই ভাল মনে করেন। আর গুজবে কান দিয়েও সময় নষ্ট করছেন। এমন মানসিকতা থেকে দূরে সরে আসুন। ক্ষমা করা মানে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারা। এর উল্টোটা হল নেতিবাচক সামাজিক অবস্থা। যা আমাদের সমাজে অহরহ দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ক্ষমার অনুকূল নয়। সেখানে নিজের ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখুন। এটাই আমাদের জন্য পরীক্ষার। নিজেকে জয় না করলে ভাল কিছু মিলবে না। কাউকে মনে-প্রাণে ক্ষমা করতে পারা মানে অনেকদূর এগিয়ে যাওয়া। এর মাধ্যমে নিজের একটি মূল্যায়ন তৈরি করুন। দেখবেন ক্ষমা একটি প্রভাব বিস্তারকারী গুণ। যা অনেককেই উদ্বুদ্ধ করবে।