খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৫: যুক্তরাষ্ট্রে বেনগাজি বিষয়ক কংগ্রেস কমিটির সামনে লিবিয়ার মার্কিন কনস্যুলেটে ২০১২ সালের হামলার ঘটনার সাক্ষ্য দিতে শুরু করেছেন ডেমোক্র্যাট দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থিতার দৌড়ে এগিয়ে থাকা হিলারি ক্লিনটন।।
শুরুতেই কূটনীতিকদেরকে ঝুঁকি নিয়েই বিশ্বের অস্থিতিশীল এবং বিপজ্জনক জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।
লিবিয়ার বেনগাজিতে ওই হামলায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ তিন মার্কিনি নিহত হয়েছিল। হিলারি সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
কংগ্রেস কমিটির চেয়ারম্যান টেরি গোডি হামলার শিকার হওয়াদের বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন শুরু করেন এবং বলেন, “তাদেরকে সত্য জানানো আমাদের দায়িত্ব।”
বেনগাজির ঘটনা সামাল দেয়া নিয়ে রিপাবলিকান-অধুষ্যিত কংগ্রেসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হয়েছেন হিলারি। তার দল বলছে, হিলারির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থিতার চেষ্টা ধুলিস্যাৎ করতেই তাকে এ সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
লিবিয়ার বেনগাজিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে ২০১২ সালের ১১ সেপ্টম্বরে সন্দেহভাজন জঙ্গি হামলার ঘটনাটি নিয়ে কংগ্রেস এরই মধ্যে ৭ বার তদন্ত চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেনগাজি প্যানেলের সামনে সাক্ষ্যের উদ্বোধনী বক্তব্যে হিলারি বলেন, বেনগাজির ওই হামলার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড নিরুৎসাহিত হতে পারে না।
“আমেরিকাকে বিপজ্জনক এ বিশ্বের নেতৃত্ব দিতেই হবে এবং আমাদেরকে কূটনীতিকদেরকেও বিশ্বের বিপজ্জনক জায়গাগুলোতে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে যেতে হবে।”
“যুক্তরাষ্ট্র যখন বিশেষ করে অস্থিতিশীল জায়গাগুলোতে অনুপস্থিত থাকে তখনই সেখানে পরিণতি হয় মারাত্মক।”
সাক্ষ্যে হামলার ঘটনার দায় নিয়েছেন বলেও জানান হিলারি। কমিটিকে তিনি বলেন, হামলার ঘটনার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে তিনি কূটনীতিকদের সুরক্ষায় সংস্কাকাজ শুরু করেছিলেন এবং এ ধরনের আরো কোনো মর্মান্তিক ঘটনা যাতে না ঘটে সে চেষ্টাও নিয়েছিলেন।
সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করা নিয়ে কয়েকমাসের বিতর্কের পর এখন কংগ্রেস কমিটিতে এ সাক্ষ্যের মুখোমুখি হলেন হিলারি।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারণায় গতি পাওয়া হিলারির জন্য এ মুহূর্তেটি খুবই গুরুত্বর্পূর্ণ। বেনগাজি বিষয়ক হাউজ রিপ্রেজেন্টেটিভস সিলেক্ট কমিটিতে হিলারির সাক্ষ্য নির্বাচনী প্রচারণায় তার অবস্থান আরও দৃঢ় করতে পারে কিংবা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে তার যোগ্যতা নিয়ে সংশয়ও বাড়াতে পারে।