Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৫:NAP C+S (0022)১০ মহররম পবিত্র আশুরা উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিমের প্রতি এক বাণীতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আজ শুক্রবার বলেছেন, কারবালার শোকাবহ ঘটনার স্মৃতিতে ভাস্বর পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে উদ্বুদ্ধ করে। আশুরা সত্য ও সুন্দরের পথে চলার প্রেরণা যোগায়।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে কারবালা প্রান্তরে শাহাদাত বরণকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে নেতৃদ্বয় বলেন, জাতীয় জীবনে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আশুরার মহান শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সকল অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে আমাদের জাতীয় জীবনে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আশুরার মহান শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। অন্যায় আর অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে বিশ্ব নবী, রাহমাতাল্লিল আলামিন, মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) এদিনে শাহাদাতবরণ করেছিলেন। কারবালা প্রান্তরে সেই হৃদয়বিদারক ঘটনা আজও মানুষকে কাঁদায় এবং বেদনার্ত করে। সত্য ও ন্যায়ের জন্য তার আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, আশুরার দিন মুসলমানদের নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদার দিন। কারণ পবিত্র আশুরার দিনটি বৈশিষ্ট্যময় হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো হচ্ছে এদিনে জগৎ সৃষ্টির সূচনা হয়। এ দিনেই (শুক্রবার) মহাপ্রলয়ের মাধ্যমে পৃথিবী ধ্বংস হবে। এদিনেই হযরত আদম (আঃ)কে জান্নাত থেকে পৃথিবীর বুকে অবরতণ করানো হয়। এ দিনেই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর তওবা কুবল করেছিলেন। হযরত নূহ (আঃ) এদিনেই মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা পেয়ে নৌকা থেকে পৃথিবীর বুকে আবার অবতরণ করেছিলেন। হযরত ইদ্রিস (আঃ) স্বশরীরে জান্নাতে প্রবেশ করেন। হযরত আইয়ুব (আঃ) সুদীর্ঘদিন কঠিন রোগ ভোগের পর এদিনে রোগমুক্ত হন। এদিনেই হযরত ইউনুস (আঃ) মাছের পেট থেকে বের হয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন। আশুরার দিনে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) আল্লাহ্ তায়ালার অশেষ কুদরতে নমরুদের অগ্নিকুন্ডে ৪০ দিন অবস্থান করে সুস্থ অবস্থায় বেরিয়ে আসেন। এদিনে হযরত দাউদ (আঃ) এর তওবা কবুল হয় এবং হযরত সোলায়মান (আঃ) বাদশাহী লাভ করেন। ১০ মহররমে হযরত ইউসুফ (আঃ) তাঁর পিতা হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর সাথে মিলিত হন। আশুরার দিনেই হযরত মূসা (আঃ) আল্লাহ তায়ালার সাথে কথা বলেছিলেন। এদিনেই আল্লাহ তায়ালা বনি ইসরাইল সম্প্রদায়কে ফেরাউনের বন্দীদশা থেকে উদ্ধার করেন এবং লোহিত সাগরে ফেরাউন ও তার বাহিনীর সলিল সমাধি ঘটান। পবিত্র আশুরার দিনেই আল্লাহ তায়ালা হযরত ইসা (আঃ)কে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করে স্বশরীরে আসমানে উঠিয়ে নেন। বিভিন্ন বর্ণনামতে এদিনে ২ হাজারের মত পয়গমম্বারগণের জন্ম হয়েছিল। এদিনে উনাদের দোয়া কবুল হয়েছিল।