Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

53খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৫: রাজধানীতে তল্লাশি চৌকিতে ছুরিকাঘাতে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার একদিনেও মামলা হয়নি। তবে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত চার জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, আটকদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিস্ফোরক-বোমা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গাবতলীতে পর্বত সিনেমা হলের সামনে তল্লাশির সময় ছুরিকাঘাতে এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা (৩৭) নিহত হন।
তাৎক্ষণিক পুলিশ মাসুদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে; বাকি তিন জনের নাম জানা যায়নি।
মামলার বিষয়ে জানতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দারুস সালাম থানায় যোগাযোগ করা হলে এসআই মোরশেদা আকতার বলেন, “ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।”
এর আগে দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন মাঠে ইব্রাহিম মোল্লার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত পুলিশ কর্মকর্তা ইব্রাহিম মোল্লার বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার পালপাড়া গ্রামে। লাশ দাফনের জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে দারুস সালাম এলাকায় থাকতেন ইব্রাহিম।
জানাজায় পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “মাসুদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এই হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে, যারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করতে চায় না। যারা এদেশের উন্নয়ন আর স্থিতিশীলতাকে পছন্দ করে না তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।”
হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও তার সহযোগীকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মাসুদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, শেষ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাবে না।”
একই অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “গ্রেপ্তারমাসুদের তথ্য অনুযায়ী কামরাঙ্গীচরের একটি আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক-বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।”
পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে হোতাকে শনাক্ত করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় মহানগর পুলিশ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিন সদস্যের এই কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসানকে।
অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন উপকমিশনার (মিরপুর) কাইয়ুমুজ্জামান এবং গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান।