কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও : খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৫: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলার সময় ইউএনও’র বিরুপ আচরণের কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুস্তাফিজুর রহমান ও তার ব্যবহৃত গাড়ি স্থানীয় জনতার রষানলে প্রায় আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে থাকে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে হরিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও ওসি (তদন্ত) সাইয়েদুর রহমান ঘটনাস্থল এসে স্থানীয় জনতার সাথে কথা বলে ইউএনও মুস্তাফিজুর রহমান ও তার ব্যবহৃত গাড়িটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় বলে স্থানীয় জনতা অভিযোগ করেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মোসলেম উদ্দীন ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের গেটের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নগেন কুমার পাল জানান, শুক্রবার সকাল ১১টার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংগীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে মোসলেম উদ্দীন ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের গেটের সামনে মোটরসাইকেল আরোহীর ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই ও নম্বর বিহীন মটরসাইকের ধরার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত বসায়। এরপর ৩টি মোটরসাইকেল আটকিয়ে প্রত্যেককে ২০০ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। আজ শুক্রবার শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দুদের প্রধান উৎসব বিজয়ী দশমীর দিন হওয়ার কারণে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আর গাড়ি না ধরার জন্য ইউএনও মহাদয়কে অনুরোধ করলে সে গাড়ি ধরা বন্ধ করে দেন। এ সময় এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে থামানোর জন্য সিগনাল দেয়। কিন্তু মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশের সিগনাল অপেক্ষা করে মোটরসাইকেলটি না থামার কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান কর্তব্যরত থানা পুলিশকে ওই ব্যক্তি গুলির নির্দেশ দেন। এ সময় উপস্থিত জনগণ ইউএনও’র এ ধরণের বিরুপ আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ও তার ব্যবহৃত সরকারী গাড়ি অবরুদ্ধ করে। ওসি (তদন্ত) সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাকে মুক্ত করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যারা ঘটনাস্থলে ছিল তাদের জিজ্ঞাসা করেন তারাই ভালো বলতে পারবে। তিনি আরো বলেন গন্ডগোলের কথা লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম তবে আমি যাওয়ার আগেই ইউএনও সাহেব সেখান থেকে চলে এসেছিল। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ওসি (তদন্ত) সাইয়েদুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও সে রিসিভ করে নাই। থানা অফিসার ইনচার্জ আকতারুজ্জামান প্রধান বলেন বিষয়টা অবরুদ্ধ না। ইউএনও সাহেব রহস্য করে ওই মোটরসাইকেল আরোহী ব্যক্তিকে গুলি করতে বলার কারণে উপস্থিত স্থানীয় জনতার সাথে বাকবিতন্ড হয়।