খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৫: দারুস সালাম থানার সহকারী উপপরিদর্শককে ছুরিকাহতে হত্যার ঘটনায় বগুড়া থেকে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি নেতাসহ ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে শিবিরকর্মী সন্দেহে ২১ জনকে আজ শুক্রবার সকালের দিকে শহরের পুরান বগুড়া এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে আটক করা হয়। অপর চারজনকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা থেকে আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় আটককৃতদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান রাতে বলেন, ‘ডিএমপির রিকুয়েজিশনের ভিত্তিতে আদমদীঘি থেকে চারজন এবং শহরের একটি ছাত্রাবাস থেকে ২১ জনকে আটক করা হয়। ছাত্রাবাস থেকে আটককৃতরা শিবিরের কর্মী। তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আছে তা ডিএমপি থেকে বিস্তারিত জানানো হয়নি।’
বৃহস্পতিবার রাতে আটককৃতরা হলেন আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ইউনুস আলী, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফি আহমেদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিনের উপজেলা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান, সদর ইউপির সাবেক সদস্য তৌফিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে শহরের পুরান বগুড়া এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে আটক ২১ জনের প্রায় সবাই সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্র। তাঁরা হলেন বগুড়ার কোরবান আলী (২৪), বিপুল মিয়া (২২), সোহেল রানা (২১), শফিকুল ইসলাম (২৯), ফরহাদ হোসেন (২১), দেলোয়ার হোসেন (২০), রায়হান আলী (২১), দিনাজপুরের কাওছার আলী (২১) ও মেহেদী হাসান (২১), নওগাঁর মাসুদ রানা (২১), সাজেদুর রহমান (২০), সাদ্দাম হোসেন (২৫) ও রুহুল আমিন (২০), গাইবান্ধার রুমন মিয়া (২০), মোহসিন আলী (২৪), জুয়েল রানা (২১) ও সিজু মিয়া (২০), নাটোরের সুলতান মাহমুদ, রাজশাহীর নাজমুল হক ও গোলাম মোস্তাফা (২২) এবং রংপুরের কামরুজ্জামান।
রাজধানীর গাবতলী এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে দারুস সালাম থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইব্রাহিম মিয়া দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে গাবতলীর পর্বত সিনেমা হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।