খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৫ : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা এবং রাজনৈতিক ভন্ডামির অবসান ঘটাবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আগে রাজনৈতিক দলগুলো অঘোষিতভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থন দিতো- যা সবার জানা। এটি ছিলো আইনের সাথে দলগুলোর লুকোচুরি খেলা এবং এক ধরনের রাজনৈতিক ভন্ডামি। দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন এ লুকোচুরি ও ভন্ডামির অবসান ঘটাবে।’
তিনি আগামী ৩১ অক্টোবর জাসদের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন প্রস্তুতি উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাসদ কার্যালয়ে দলের ঢাকা মহানগর কমিটির প্রতিনিধিসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থার কারণে তৃণমূল পর্যায়ের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো আর উদাসীন থাকতে পারবে না- উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ভারত-যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক রাজনীতির ক্লাবের সদস্য হলো বাংলাদেশ।
হাসানুল হক ইনু এ সময় পূর্ববর্তী স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৮ বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, ৯ বার পৌরসভা নির্বাচন, ৪ বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ১টি পার্বত্য জেলা পরিষদ নির্বাচনসহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলো সবসময়ই দেশে বিদ্যমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ কথা বলা হয়।
মন্ত্রী বলেন, মেয়াদ শেষে নিয়মানুযায়ী আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এটি কোন আন্দোলন চাপা দেয়ার কৌশল নয়, জাতীয় নির্বাচন পাশ কাটানোরও কৌশল নয়। জাতীয় নির্বাচন ২০১৯ সালে সময়মতো হবে, কেউ তা আটকাতে পারবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের বরাত দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং ফলাফলও মেনে নিয়েছে। এমনকি ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরংকুশ বিজয়ের পরও ২০১১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও জাসদ মহানগর সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মীর হোসেন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বিশিষ্ট জাসদ নেতা নূরুল আখতার, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, করিম সিকদার, আফরোজা হক রীনা, আনোয়ারুল ইসরাম বাবু, শফিউদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, নুরুন্নবী, এডভোকেট মহিবুর রহমান মিহির, সামছুল ইসলাম সুমন, এবং এডভোকেট সেলিম উদ্দিন।
মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও জাসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত, নাদের চৌধুরী ও উম্মে হাসান ঝলমলসহ মহানগর কমিটির প্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।