Wed. May 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৫: জাতীয় সংসদ শুধুই নিয়ম রক্ষার এবং এটি কেবল 34ক্ষমতাসীন দলের একচ্ছত্র ভূবনে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)
রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ‘পার্লামেন্টওয়াচ’ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে একসংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
জাতীয় সংসদ পুতুল নাচের নাট্যশালা। সার্বিকভাবে সংসদের কার্যক্রমে আমরা হতাশ। সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয়। সংসদীয় আচরণ থেকে ব্যাপক বিচ্যুতি হয়েছে।
একটি দল বা জোট যাদের সংসদে উপস্থিত নেই, তাদের নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। প্রতিপক্ষের সমালোনা আগের সংসদের চেয়ে ১২ গুণ বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটির মূল দায়িত্ব পালনের প্রতি অনিহা, ও সংসদ সদস্যদের অবহেলা বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়।
নবম সংসদে বিরোধী দলের উপস্থিতর হার চার শতাংশ। এবার বিরোধী দলের উপস্থিতি ৫৩ শতাংশ। সেদিক থেকে সংসদে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তবে বিরোধী দল কতটুকু বিরোধী তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর থেকে প্রশ্নবিদ্ধ ‘প্রধান বিরোধী দল’ এর জোরালো ভূমিকার ঘাটতিসহ নানা কারণে সংসদ প্রত্যাশিত পর্যায়ে কার্যকর হয়নি। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের একছত্র ভূবন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুলত বর্তমান জাতীয় সংসদ।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দশম সংসদের দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ অধিবেশন পর্যন্ত সময়ে আইন পাসের জন্য বিল প্রতি ব্যয়িত গড় সময় ও প্রতি কার্যদিবসের সদস্যদের গড় উপস্থিতর হার তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি ও গড় কোরাম সংকট হ্রাস পাওয়ার মতো কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।
পর্যবেক্ষণাধীন অধিবেশনগুলোতে সংসদীয় আলোচনার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো সরকারি দল ও প্রধান বিরোধী দল সম্মিলিত সুরে সংসদের বাইরে রাজনৈতিক দলের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। সরকারের মন্ত্রিসভার অংশবিশেষ এই কথিত প্রধান বিরোধী দলের সরকারের লেজুড়বৃত্তি ছিল পরিষ্কার। তদুপরি সরকারি দলের পক্ষ থেকেও এই লেজুড়বৃত্তিকে বিভিন্নভাবে দশম সংসদের ইতিবাচক অর্জন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত ছিল।
টিআইবির নির্বাহী উপ-নির্বাচহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান, রিসার্চ এ্যান্ড পলিসি বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফাতেমা আফরোজ, মোরশেদ আক্তার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার জুলিয়েট রোজেটিসহ আরও অনেকেই এ সময় উপস্থিত ছিলেন।