খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৫: বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার জন্য এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিবহনের জন্য ভারতের প্রস্তাব পরীক্ষা করছে ঢাকা। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ সরণ আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের সফরকালে গৃহীত চুক্তিসমূহ ও অন্যান্য সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি ও এর প্রটোকল উভয় পক্ষ নির্ধারিত সময়ে স্বচ্ছন্দে বাস্তবায়ন করায় এবং দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
এ ছাড়া স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদনে সমর্থন দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দলমত-নির্বিশেষে দেশটির পার্লামেন্টের সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি আস্থা প্রকাশ করেন যে, অবশিষ্ট সব পদক্ষেপ যথাসময়ে সম্পন্ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহল এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে; যাতে এসব এলাকার জনসাধারণের জন্য সব ধরনের নাগরিক সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করা যায়। এসব কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তদারকি করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ভারতের সহযোগিতার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমরা উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে যেতে চাই।’
বৈঠকে পদ্মা নদীর ওপর গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই ব্যারেজ নির্মাণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশে পায়রা বন্দর ও গভীর সমুদ্রে আরও বন্দর নির্মাণে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়ে ভারতের আগ্রহের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
বৈঠকে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, পেট্রাপোলে একটি সমন্বিত অভিবাসন চেকপোস্ট স্থাপিত হচ্ছে। এ ছাড়া, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়িতে ভারতের একটি অভিবাসন চেকপোস্ট চালুর জন্য নয়াদিল্লি প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।