খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৫: মাঠের লড়াই শুরুর আগেই ঐতিহ্য-ইতিহাস টেনে মাঠের লড়াইয়ে মুগ্ধতা ছড়ানোর প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন কলকাতা মোহামেডানের কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য। কিন্তু ঢাকা মোহামেডানের কাছে হেরে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর কোচ দুঃখ প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের দর্শকদের সন্তুষ্ট করতে পারেননি বলে।
চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে রোববার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা মোহামেডানের কাছে ২-১ গোলে হারে ভারতের ঘরোয়া লিগের দ্বিতীয় স্তরে খেলা দলটি। জয়শূন্য থেকেই টুর্নামেন্ট শেষ করতে হয়েছে তাদের।
সলিড এসসির কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা কলকাতা মোহামেডান নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্পিন ঘর বাজানের সঙ্গে ড্র করে। তিন ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে এ আসর শেষ করল তারা।
ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় হতাশা আড়াল করেননি সুব্রত, “এটা আমাদের জন্য ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল; কিন্তু আমরা আত্মহত্যা করেছি। আমার বলার কিছু নেই।”
হার নিশ্চিত হওয়া গোলটি কলকাতা মোহামেডান হজম করে যোগ করা সময়ে; গোলরক্ষকের ভুলে।
শিষ্যদের ভুলের কড়া সমালোচনা করেন সুব্রত, “মোহামেডানের জার্সি পরে এই পর্যায়ে খেলার মতো পরিপক্ক নয় ছেলেরা। তাদের আরও অভিজ্ঞতা দরকার। ছেলেরা এমন ভুল করতে থাকলে আমাকেও বারবার দুঃখিত বলতে হবে।”
গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে সেরা চারে ঠাঁই করে নেওয়ায় দারুণ উচ্ছ্বসিত ঢাকা মোহামেডান কোচ জসিমউদ্দিন জোসি, “ছেলেরা যে অবস্থার মধ্য দিয়ে এ পর্যায়ে এসেছে, তাতে আমি আনন্দিত, গর্বিত।”
“ইব্রাহিম জ্বর নিয়ে খেলেছে। জীবনও অসুস্থ ছিল। আমি ভয়ে এগুলো প্রকাশ করিনি। আসলে ঋতু পরিবর্তনের সময়, তাছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে এত ম্যাচ খেলা ছেলেদের জন্য কঠিন”, যোগ করেন তিনি।
ড্র করলেও ঢাকা মোহামেডানের রানার্সআপ হওয়া নিশ্চিত ছিল। তবে জোসি জানান জয়ই লক্ষ্য ছিল তার, “আমার ইচ্ছা ছিল বিজয় দিয়ে সবাই আনন্দ করুক। কলকাতার দলকে হারাতে পারলে আমাদের মানুষ খুশি হয়।”
আগামী বুধবার সেমি-ফাইনালে ভারতেরই আরেক ঐতিহ্যবাহী দল ইস্ট বেঙ্গলের মুখোমুখি হবে ঢাকা মোহামেডান। জোসি জানালেন, জীবন-ইব্রাহিমরা সামনের দুই দিনে কতটা ফিটনেস ফিরে পায়, আপাতত সেটাই ভাবছেন তিনি।