খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৫: ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে সোমবার এ আদেশ দেন।
এই তিনজন হলেন- রাসেল চৌধুরী ওরফে চাকতি রাসেল, মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগ্নে রাসেল ওরফে কালা রাসেল এবং শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরীফ।
পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জিহাদ হোসেন ওই তিনজনকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চান।
“বিচারক শুনানি শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটদিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দেন।”, বলেন তিনি।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে তামজিদ আহম্মেদ রুবেল ওরফে শুটার রুবেল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি বলে মিরাশ উদ্দিন জানান।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের সড়কে তাভেল্লাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা পালিয়ে যায় মোটর সাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা। আইসিসিও কো-অপারেশন নামে একটি সংস্থার প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন ইতালির এই নাগরিক, ঢাকায় তিনি একাই থাকতেন।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে রোববার ওই চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশ করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, সরকারকে চাপে ফেলার জন্য ‘বাংলাদেশে বিদেশিরা নিরাপদ নয়’ বোঝাতে ‘কোনো একজন শ্বেতাঙ্গকে’ হত্যা পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লাকে খুন করা হয়।
কথিত এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে ‘নির্দিষ্ট টাকার চুক্তিতে’ দুই রাসেল ও রুবেল এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় এবং এ কাজে তারা শরীফের মোটরসাইকেল ব্যবহার করে বলে পুলিশের দাবি।