Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৫: মুম্বাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে ২১৪ 7রানে হেরেছে ভারত। রানের হয়েছে ওয়ানডেতে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এটা দ্বিতীয় বৃহত্তম হার। সবচেয়ে বড় হারটা ২০০০ সালে শারজায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার ২৯৯ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৫৪ রানেই অলআউট হয়েছিল ভারত। ২৪৫ রানে হারের ব্যবধানটা ছিল সে সময়ের বিশ্ব রেকর্ড। লজ্জার রেকর্ডটা অবশ্য পরে তিনবার হাতবদল হয়ে এখন আয়ারল্যান্ডে দখলে। এই দুবার ছাড়াও ওয়ানডেতে আরও তিনবার ২০০ রানের বেশি ব্যবধানে হেরেছে ভারত। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, পাঁচবার ২০০ বা এর বেশি রানে হারার লজ্জা ভারতেরই। ওয়ানডেতে পাঁচবার ২০০ রানে হেরেছে সহযোগী সদস্য হল্যান্ডও। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার হেরেছে কেনিয়া। তিনবার করে ২০০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। ২০০ রানে ভারতের শেষ হারটি তো একেবারেই তরতাজা। চলুন, জেনে নেই ভারতের প্রথম চারটি বড় হারের ম্যাচের খুঁটিনাটি
ইনিংস ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত খেলে মাত্র ৩৬ রানে অপরাজিত গাভাস্কার! দল হারল বড় ব্যবধানে। ছবি: ক্রিকইনফোভারত-ইংল্যান্ড, লর্ডস, ১৯৭৫
ফল: ইংল্যান্ড ২০২ রানে জয়ী।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর্দা উঠেছিল এই ম্যাচটি দিয়েই। ডেনিস অ্যামিসের সেঞ্চুরিতে ৬০ ওভারের ম্যাচটিতে ৪ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড তুলেছিল ৩৩৪ রান। ভারতের উইকেট পড়েছিল ইংল্যান্ডের চেয়েও একটি কম। কিন্তু পুরো ৬০ ওভারে করতে পেরেছিল মাত্র ১৩২। দায়টা বেশি সুনীল গাভাস্কারেরই। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম বিস্ময়কর (!) ইনিংসটি খেলেছিলেন ভারতীয় ওপেনার। ইনিংস ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত গাভাস্কার কত রান করে ফিরেছিলেন, জানেন? মাত্র ৩৬!
ভারত-শ্রীলঙ্কা, শারজা, ২০০০
ফল: শ্রীলঙ্কা ২৪৫ রানে জয়ী।
জুনে এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে ২৩৩ রানে হারিয়ে রেকর্ড গড়েছিল পাকিস্তান। লজ্জার রেকর্ডটি থেকে মাত্র চার মাস পরই মুক্তি মিলেছিল বাংলাদেশের। অক্টোবরে কোকাকোলা চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে নিয়ে ছেলেখেলা করে সেই মুক্তি দেয় শ্রীলঙ্কা। জিততে হলে করতে হতো ৩০০ রান, ভাস-মুরালি যুগলবন্দীতে ২৬.৩ ওভারেই নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৫৪ রানে অলআউট ভারত। ৯.৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ভাস, ৬ ওভারে ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট মুরালির।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া, সিডনি, ২০০৪
ফল: অস্ট্রেলিয়া ২০৮ রানে জয়ী।
ভিবি সিরিজের দ্বিতীয় ফাইনাল। শেষ ৫ ওভারে ৭০ রান তুলে ৩৫৯ রানের পাহাড়ে চড়ে অস্ট্রেলিয়া। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হেইডেন করেন ১২৬। শেষে ঝড় তুলেছিলেন অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস (৩৯ বলে ৬৬)। অস্ট্রেলীয়দের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সামনে বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ গড়তে পারেনি ভারতীয়রা। ১৭তম ওভারেই ৫৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৩৩.২ ওভারে অলআউট ১৫১ রানে। অস্ট্রেলিয়ার চার বোলার নিয়েছিলেন ২টি করে উইকেট। বাকি দুটি রানআউট।
যোগ হলো আরেকটি লজ্জার অধ্যায়। ১২ রানে বোল্ড সুরেশ রায়না। একে পুরো দলের ব্যর্থতার প্রতীকী ছবিও বলা যেতে পারে। ছবি: রয়টার্সভারত-নিউজিল্যান্ড, ডাম্বুলা, ২০১০
ফল: নিউজিল্যান্ড ২০০ রানে জয়ী।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড করেছিল ২৮৮ রান। এই রানের ১৯০-ই এসেছে রস টেলর (৯৫) ও স্কট স্টাইরিসের (৮৯) চতুর্থ উইকেট জুটিতে। টেন্ডুলকারবিহীন ভারতীয়রা বাজে ব্যাটিংয়ের উদাহরণ গড়ে ২৯.৩ ওভারেই অলআউট ৮৮ রানে। সাত নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ২০ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা।