খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৫: গোটা বাংলাদেশই বিশাল একটি পর্যটন স্পট, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পর্যটন সার্কিট উন্নয়ন বিষয়ক দু’দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ পর্যটন বর্ষ ২০১৬-এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
পর্যটন শিল্পকে আরও গতিশীল করতে সরকার ২০১৬ সাল পর্যটন বর্ষ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে তিনি বক্তব্য দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ অফুরন্ত পর্যটন সম্ভাবনার দেশ। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা, হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের জন্য খুবই সম্ভাবনাময়।’
সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে ভুটান, নেপাল, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের (বিবি আইএন) মোটর ভেইকেল এগ্রিমেন্ট (এমবিএ) চুক্তি সই হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সরকার আশা করছে, এর ফলে এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্প বিকশিত হবে। পর্যটকদের আসা যাওয়া বাড়বে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব মানচিত্রে একটি নতুন পর্যটন গন্তব্য হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় সব উপাদানই রয়েছে ।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাংয়ে এক্সক্লুসিভ টুরিস্ট জোন গড়ে তোলার কাজ চলছে। এতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। এর পাশে বিশেষ একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে বলে তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটাসহ দেশের সব পর্যটন এলাকায় সরকার উন্নয়নকাজ করছে। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন বলেন, ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন গঠন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময়েই ‘বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন’ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।
জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (ইউএনডব্লিউটিও) ও বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার প্রধান থেকে শুরু করে বিশ্বের ১৩টি দেশের পর্যটনমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এতে অংশ নিয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউএনডব্লিউটিওর মহাসচিব তালিব রাফাই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। ভারত, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমারসহ ১৩টি দেশের পর্যটনমন্ত্রী ও কর্মকর্তারা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।