খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৫: রিভিউ শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে দুই আইনজীবী যাতে নির্বিঘেœ সহায়তা করতে পারেন, সে নির্দেশনা চেয়ে যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের করা দুই আবেদনের ওপর ২ নভেম্বর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হবে।
মঙ্গলবার অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শুনানির এ দিন ঠিক করে দেন।
আইনজীবী শিশির মনির ও আসাদ উদ্দিনের জন্য ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই দুই আবেদন জমা দেন দুই জামায়াত নেতার আইনজীবীরা।
শিশির মনিরের ঢাকার বাসায় তল্লাশি এবং আসাদ উদ্দিনকে সিরাজগঞ্জ থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে স্বজনদের অভিযোগের পর ওই আবেদন করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত আমির নিজামীর আপিল ৩ নভেম্বর শুনানির জন্য রয়েছে।
আর ফাঁসির অপেক্ষায় থাকা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) যে আবেদন করেছেন, তার শুনানি হবে ২ নভেম্বর।
দুই মামলাতেই প্রধান আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাকে সহায়তা করতে যে আইনজীবী দল রয়েছে, শিশির মনির ও আসাদ উদ্দিন তার সদস্য।
আবেদন দুটি দায়ের করার পর ২৫ অক্টোবর ওই দুই আইনজীবীর সহকর্মী ইমরান এ সিদ্দিক বলেছিলেন, “গত ২২ অক্টোবর শিশির মনিরের বাসায় তল্লাশি চালানো হয়। একই দিন আসাদ উদ্দিনকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার সময় ডিবি পরিচয়ে আটক করা হয়। এই প্রেক্ষিতে আবেদন দুটি করা হয়েছে।”
মঙ্গলবার আবেদন দুটি চেম্বার বিচারপতির আদালতে উপস্থাপন করে আবেদনকারীপক্ষ। জামায়াতের দুই নেতার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম; সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আইনজীবী তাজুল পরে বলেন, “এসব মামলায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে যাতে আইনজীবী শিশির মনির সহায়তা করতে পারেন এবং তাকে যেন হয়রানি না করা হয়, সে বিষয়টি দেখতে অ্যার্টনি জেনারেলকে মৌখিকভাবে বলেছেন আদালত।”
এ দিকে আইনজীবী আসাদ উদ্দিনকে সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তার জামিন নাকচ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।