বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় দৈনিক নয়াদিগন্তের ১ যুগ পূর্তি উপলক্ষে পত্রিকা পাঠক, সম্পাদক, সাংবাদিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম মুক্ত নয়। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বললেও প্রকৃত অর্থে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করছে বার বার। আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই গণমাধ্যম সরকারের প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী সরকার ৪টি সংবাদপত্র রেখে মজলুম জননেতা মওলানা প্রতিষ্ঠিত ‘হক কথা’-সহ সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছেল। অবজার সম্পাদক আবদুস সালামকে গ্রেফতার করে কারাবন্দি করা হয়েছিল। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দৈনিক বাংলা, টাইমস, বিচিত্রা, আনন্দ বিচিত্রা বন্ধ করে শত শত সাংবাদিককে বেকারে পরিনত করেছে। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে বন্ধ করেছে চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, দৈনিক আমার দেশ। শুধু বন্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্ধি রেখেছে। গ্রেফতার করেছে ইটিভি ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালামকে। যা সকল কিছুই মুক্ত গণমাধ্যম নীতির পরিপন্থি।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, এত প্রতিকুলতার মাঝেও দৈনিক নয়াদিগন্ত তাঁর পাঠক প্রিয়তা ও প্রকাশনা অব্যাহত রেখে যুগপূর্তি করছে তা অত্যান্ত আনন্দের। বাংলাদেশ ন্যাপ দৈনিক নয়াদিগন্তের সকল দুর্দিনে অতিতে যেমন ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় দৈনিক নয়াদিগন্তের যুগপূর্তিতে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধ গণমাধ্যম দৈনিক আমার দেশ, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক টিভিকে মুক্ত করে দিতে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
নেতৃদ্বয় একই সাথে সাহসী সম্পাদক নিঃশর্ত মাহমুদুর রহমানেরও মুক্তির দাবী জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একে অপরের পরিপূরক। গণতন্ত্র না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না, তেমনই মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। বর্তমানে দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র সংকোচিত হয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রনে চলে গেছে। যা একটি রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না।