খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫ : মোটার একটা মাপজোখ থাকে, সেটা যদি অতিরিক্ত হয়েও আরও বেশি দূর গড়ায় সেটাকে কি আর মোটা বলা যায়। বিশ্বের মোটা মোটা মানুষ দেখতে অনেকেই আগ্রহী থাকে, কেউ আবার নিজেকে মোটাদের তালিকায় দেখার জন্য প্রচুর খাবার গ্রহণ করেন পাশাপাশি প্রার্থনা করেন। শত চেষ্টায় যখন ব্যর্থ হয় তখনই ধরে নেয় স্বাস্থ্য বিধাতার দান। এতসবের পরও যখন মোটা মানুষের দেখা পান তখন মুখ ফসকে বের করেন কত মোটা মানুষ রে বাবা!
মোটাদের শীর্ষ তালিকার ১জন হচ্ছেন মেক্সিকান নাগরিক আন্দ্রেস মরেনো। বিশ্বের সর্বোচ্চ ওজনবিশিষ্ট ব্যক্তিটি আর রেকর্ডটি অক্ষুণœ রাখতে চাচ্ছেন না। তিনি ওজন খানিকটা কমিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাভাবিক মানুষ হতে যাচ্ছেন। আর সে কারণেই আজ বুধবার তার চর্বি কমানোর অস্ত্রোপচার হয়েছে। আরবোলেডাদ হাসপাতালের মেক্সিকো গ্যাস্ট্রিক বাইপাস ইউনিটে এ জন্য প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে।
৩৭ বছরের এই মেক্সিকানের ওজন ৪৩৫ কেজি (৯৫৯ পাউন্ড)। বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। তবে এটা তার জন্য খুব একটা ভালো হয়নি। তাকে গত কয়েক বছর ধরে বিছানায় শুয়ে থাকতে হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা তার পেট থেকে প্রায় ৭০ শতাংশ চবি কেটে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করছেন।
এই অস্ত্রোপচারে কিছুটা ঝুঁকি আছে, কিন্তু তবুও তিনি সেটা করতে নাছোড়বান্দা। তিনি তার বর্তমান জীবনকে কারাগার মনে করছেন। জন্মের সময় তার ওজন ছিল ৬ কেজি (১৩ পাউন্ড)। ১০ বছর পর তার ওজন হয় ১২০ কেজি (২৬৫ পাউন্ড)। এর পর থেকে তার ওজন বাড়তে থাকে অস্বাভাবিক হারে।
মরেনো দ্বিতীয় মেক্সিকান হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে ভারি মানুষের স্বীকৃতি পেয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড থেকে। তার আগে ম্যানুয়েল উরিব ২০০৬ সালে মৃত্যুবরণের আগে পর্যন্ত ওই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। তার ওজন ছিল ১,২৩০ পাউন্ড (৫৬০ কেজি)। দেশটিকে স্থূল লোকদের সংখ্যা অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। সেখানকার ৭০ ভাগ লোক স্থূল। আর এক তৃতীয়াংশ অতিমোটা হিসেবে পরিচিত। বেশি ওজন থাকলে যা হয়, তা-ই হচ্ছে। প্রতি বছর সেখানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় অন্তত ৮০ হাজার লোক।
–