Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫ : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, 80বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। বিচার প্রক্রিয়ায় কারও কোনো ধরনের প্রভাব নেই। পূর্ব লন্ডনের ডকল্যান্ডের ক্রাউন প্লাজা হোটেলে এক ভোজসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এস কে সিনহা এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতির সম্মানে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিবিসিসিআই) এ ভোজসভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জনের বক্তব্যে বাংলাদেশে বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ও ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা বিনিয়োগের জন্য একটি বড় বাধা—এমন বিষয়টি উঠে আসে। তাঁরা প্রবাসীদের সম্পত্তি দখল ও হয়রানিমূলক মামলার কথা উল্লেখ করে বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধান বিচারপতির উদ্যোগ কামনা করেন।
জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন। এ ক্ষেত্রে লোকবল ও অবকাঠামোর সমস্যা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজে সাক্ষাৎ করেছেন জানিয়ে এস কে সিনহা বলেন, দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন।
বিচার প্রক্রিয়ার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে এস কে সিনহা বলেন, সাধারণ মানুষের অভিযোগ গ্রহণে ইতিমধ্যে একটি ‘অভিযোগ বক্স’ খোলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর আইনি যেকোনো বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেবেন।
প্রধান বিচারপতি জানান, ১ নভেম্বর থেকে উচ্চ আদালতের সব কার্যক্রমের তথ্য অনলাইনে পাওয়া যাবে। এতে মামলার শুনানির তারিখ ও এর ফলাফল নিয়ে অতীতের মতো আইনজীবীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না। পর্যায়ক্রমে পুরো বিচারিক কার্যক্রমকে ডিজিটাল করে তুলতে চান জানিয়ে এস কে সিনহা বলেন, তখন বিশ্বের যেকোনো স্থানে বসে মামলা করা, মামলার তথ্য জানা বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য প্রদান ও প্রমাণ হাজির করা যাবে।
দুই বছরের মধ্যে সব মামলার জট সুরাহার উদ্যোগ নিয়েছেন জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা মামলাগুলো সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সমঝোতার মাধ্যমে সুরাহা করতে চান তিনি। বলেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো এতে রাজি না হলে বিচারে হেরে যাওয়া পক্ষকে মামলার সমুদয় খরচ বহন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরে বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম এ হান্নান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিসিসিআইয়ের ডাইরেক্টর জেনারেল মুহিব চৌধুরী।