Fri. Mar 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৫: এক যুগ আগে মাদারীপুরের রাজৈরে জোড়া খুনের এক 29ঘটনায় চারজনের ফাঁসির রায় দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দীন বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
চারজনকে সর্বোচ্চ সাজার আদেশ দেওয়ার পাশাপাশি একজনের যাবজ্জীবন ও নয়জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
ফাঁসির আসামিরা হলেন- মহিউদ্দিন হাওলাদার, সুহাগ হাওলাদার, হালিম সর্দার ও হাবি শিকদার। এদের মধ্যে শেষ দুজন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা পলাতক।
এ ছাড়া আরেক পলাতক আসামি শামসুল হক হাওলাদারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যে নয় আসামির দশ বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে, তাদের মধ্যে হিরু হাওলাদার, রফিক হাওলাদার, কাইয়ুম শিকদার, টুটুল হাওলাদার, সেকেন্দার শেখ, জিন্নাত খান ও ইদ্রিস শেখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর জাহাঙ্গীর শিকদার ও মোস্তফা হাওলাদার পলাতক।
এই নয়জনের প্রত্যেককে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়া হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় ১৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ দিয়ে এ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০০৩ সালের ১২ ফেব্র“য়ারি রাজৈর থানার পশ্চিম স্বরমঙ্গল এলাকায় কোরবানির ঈদের নামাজের পরপর আসামিরা ইাউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সিরাজুল হক সমর্থিত সৈয়দ আলী মোল্লা ও সোলেমান মোল্লাসহ ৩৬ জনকে গুলি করে।
সৈয়দ আলী সেদিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোলেমান মোল্লা।
ওই ঘটনায় আইয়ুব আলী বাদী হয়ে রাজৈর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছর ৩০ অগাস্ট পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র হয়।
২০০৫ সালের ১১ অক্টোবর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আদালত বিচার শুরু করে। রাষ্ট্রপক্ষে ২৮ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন।