খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৫: তোফাজ্জল হোসেন নরসিংদী : শিক্ষা সম্প্রসারণ ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বর্ণ পদক পেলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিষ্ট্রার ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার শাহজাহান। গত ২৬ অক্টোবর পাবলিক লাইব্রেরী শওকত ওসমান মিলনায়তনে এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মানবাধিকার ও পরিবেশ সাংবাদিক সোসাইটির ১২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং মহাত্মা গান্ধীর জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর জীবানদর্শ শীর্ষক’ আলোচনা সভা, মহাত্মা গান্ধী গোল্ড মেডেল-২০১৫ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষা সম্প্রসারণ ও সমাজ সেবায় ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার (শাহজাহান) কে এ স্বর্ণ পদক তুলে দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) ও আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ড. মির্জা আব্দুল জলিল। মানবাধিকার ও পরিবেশ সাংবাদিক সোসাইটি (মাপসাস) এর সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট হোসনে আরা বাবলী এম.পি, মাপসাস এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব গোলাম রব্বানী জামিল, কাবস এর চেয়ারম্যান সাইমন এ পেরেরা প্রমুখ।
স্বর্নপদক প্রাপ্ত ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার (শাহজাহান) নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার কাচিকাঁটা ইউনিয়নের বড় মির্জাপুর গ্রামের খন্দকার হারেছ ও মাহমুদা বেগমের সুযোগ্য সন্তান। ডা. মাজহার ১৯৯১ সালে এসএসসি এবং ১৯৯৩ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর ফেকাল্টিভূক্ত সিলেট সরকারী ভেটেরিনারী কলেজ বর্তমানে যা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০২ সালে ডক্টর অব ভেটেরিনারী মেডিসিন (ডিভিএম) ¯œাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৮ সালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্যারাসাইটোলজি বিষয়ে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৯ সালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, ডানিডা, ডিএফআইডিসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার বিভিন্ন প্রকল্পে করেন, যে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল দারিদ্র বিমোচন। বর্তমানে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এডিশনাল রেজিষ্ট্রার হিসেবে কর্মরত। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত। তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। ডা. মাজহার বুয়েট সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। একজন দক্ষ প্রশিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তিনি স্কুল জীবনেই স্কাউটিংয়ে সম্পৃক্ত হয়ে বিভিন্ন সেবা মূলক কার্যক্রমে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৯৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন কালে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল এ সম্পৃক্ত হন এবং লিউ ক্লাব অব সিলেট ভেটেরিনারী কলেজের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে অধ্যাবদী লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল এ জড়িত। বর্তমানে লায়ন্স ক্লাব অব সিলেট এর সেক্রেটারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ ছাড়াও ছাত্র জীবন থেকেই যুব রেট ক্রিসেন্ট সোসাইটির সিলেট এর সাথে জড়িত হয়ে বর্তমান সময়েও উক্ত সংগঠনে সম্পৃক্ত রয়েছেন। উল্লেখ্য, লায়ন্স ক্লাব অব সিলেট এর মাধমে বিভিন্ন সময়ে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। বর্তমানে উক্ত ক্লাবের ৮০ শয্যা বিশিষ্ট একটি শিশু হাসপাতাল রয়েছে। যার মাধ্যমে সিলেট বিভাগের অসহায় ও গরীব শিশুদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। আর এ হাসপাতালটি সিলেট বিভাগের একমাত্র শিশু হাসপাতাল। ডা. মাজহার বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারী এসোসিয়েশন এর আজীবন সদস্য। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ কৃষিবিদ লিমিটেড এর একজন প্রতিষ্ঠাতা শেয়ার হোল্ডার। তিনি বাংলাদেশ ভেটেরিনারী কাউন্সিলর এর কার্যকরী পর্ষদের (১২ সদস্য) একজন কাউন্সিলর হিসেবে চার বছরের জন্য (২০১৫-২০১৮) সালের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারী পরিষদের সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নরসিংদী জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাকচর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের একজন শিক্ষানুরাগী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ডা. মাজহার ঢাকা, সিলেট, নরসিংদীতে পেশাজীবী সংগঠন সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন।