খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৫: খুলনায় ‘চরমপন্থী’ নেতা শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে মহানগরীর দৌলতপুর এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়।পুলিশ জানায়, শহীদ এলাকার সে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি দল বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ফারুক ও বেনু নামে দুই জনকে আটক করা হয়েছে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহীদ বিকেলে নিজের সাদা অ্যালিয়ন প্রাইভেটকার নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। খুলনা-যশোর মহাসড়কের দৌলতপুর ইসলামী ব্যাংকের সামনে পৌঁছলে দুটি মোটরসাইকেলে আসা ৪ দুর্বৃত্ত সামনে থেকে শহীদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে গাড়ির পেছনের ও পাশের কাচ ভেঙে যায়। গাড়িতে বসেই শহীদ গুলিবিদ্ধ হন। একটি গুলি গাড়ির সামনের ডান পাশের চাকায় বিদ্ধ হয়। এ অবস্থাতেই চালক গাড়িটি চালিয়ে হক কমিশনারের বাড়ির সামনে পর্যন্ত নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে শহীদকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাকে বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ আবারও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।নগরীর দৌলতপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, ইসলামী ব্যাংকের সামনে ৪টি গুলির খোসা এবং গাড়ির ভেতরে একটি গুলির খোসা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গাড়ির গায়ে ৮-১০টি গুলির চিহ্ন রয়েছে।তিনি বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে আশপাশ এলাকার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।’খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. আবদুল্লাহ আরেফ সমকালকে বলেন, ‘শহীদ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিল। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৮-১০টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় আত্মগোপনে ছিল শহীদ। সম্প্রতি এলাকায় ফিরে সংগঠন গোছানো শুরু করেন তিনি।’পুলিশের এ কর্মকতা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর চরমপন্থি দলের আরেক সদস্য বেনুকে আটক করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাবলা থেকে ফারুক নামের আরেকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকিদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে।’এদিকে শহীদের মৃত্যুর পর তার সমর্থকরা সন্ধ্যায় গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়কের উভয় পাশে বেশ কয়েকটি ইজিবাইক ভাংচুর করে।