খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৫: মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেল এ্যান্ড রেস্টুরেন্টের কর্মী রিয়াদকে (১৭) গুলি করে হ্ত্যা মামলায় ওই হোটেলের কর্মী জসিম উদ্দিনকে সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
জসিম উদ্দিনকে শক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়ারী থানার অপারেশন অফিসার (পরিদর্শক) আলিম হোসেন সিকদার।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোল্লা সাইফুল আলম সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, টাকা ও মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে হোটেলকর্মী রিয়াদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেল এ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক আরিফুল ইসলাম সোহেল তাকে গুলি করে। ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল খালেক বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘দেড় হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে ঘরোয়ার মালিক সোহেল নিজেই তার কর্মী রিয়াদকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ছিনতাইকারীর গুলিতে রিয়াদ নিহত হয়েছে এমন নাটক সাজাতে অন্য কর্মীদের শিখিয়ে দেন তিনি। তার শেখানো কথাই পরে হোটেলকর্মীরা গণমাধ্যমকে জানায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিহত রিয়াদ ও তার সহকর্মীরা রাজধানীর মতিঝিলের স্বামীবাগের ৭৩ নম্বর মিতালী স্কুলের একটি নির্মাণাধীন বাসায় একসঙ্গে থাকত। ওখানেই রিয়াদকে গুলি করে হত্যা করা হয়।’
নিহত রিয়াদের বড় ভাই রিপন বলেন, হোটেল থেকে ২০ থেকে ২২ দিন আগে দেড় হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ অভিযোগে রিয়াদকে দীর্ঘদিন নির্যাতন করে আসছিলেন সোহেল। মঙ্গলবার বিকেলে হোটেলের ভেতরে তাকে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়। রাত ১২টার দিকে মালিক নিজে রিয়াদকে তার গাড়িতে করে স্বামীবাগের ওই মেসে নিয়ে যায়। সেখানে নির্যাতনের পর তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
রিয়াদের বড় ভাই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।