Sat. Aug 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৫: বিশ্বব্যাপী অক্টোবর মাস স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসাবে 73পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে শনিবার এক গোলাপী সড়ক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, বাংলাদেশে অনেকের মধ্যেই এ রোগ নিয়ে লজ্জা কাজ করে। এমনকি অনেক নারী প্রথমে এ রোগের লক্ষণ বুঝতে পারেনা। তবে চিকিৎসকদের মতে সঠিক সময় রোগ নির্ণয় করতে পারলে শতভাগ সুস্থতা সম্ভব।
এসব বিষয়ে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেন ড. তাসমিয়া তাহমিদ। তিনি বলেন, আমার মনে হয় আগের চেয়ে মেয়েরা অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি বাংলাদেশের মেয়েরা তাদের স্তনে কোন সমস্যা আছে কিনা সেটা জানতে আগের চেয়ে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। গত ৫ থেকে ৬ বছরে মেয়েদের মধ্যে অত্যন্ত সচেতনতাটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ কতটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে এর জবাবে ড. তাসমিয়া তাহমিদ বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মেয়েদের স্তন ক্যান্সারে মৃতের সংখ্যা ২৭ ভাগ। আমরা সঠিকভাবে জানতে পারছিনা কতজন স্তন ক্যান্সারে মারা যাচ্ছে, কত বয়সে মারা যাচ্ছে। স্তন ক্যান্সার আসলে মুখ্য কারণ কিনা যার জন্য মেয়েরা মারা যাচ্ছে এটা সঠিকভাবে জানতে পারছিনা।
স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা কতটা ব্যয়বহুল বা সাধ্যের মধ্যে আছে কিনা এর জবাবে ড. তাসমিয়া তাহমিদ বলেন, অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা এসে যায় কারণ স্তন ক্যান্সার একটা কমন রোগ। উন্নত দেশে রোগীদের চিকিৎসার জন্য টাকা প্রদান করতে হয়না এর জন্য বীমা করা আছে। যুক্তরাজ্যে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা ফ্রি। বাংলাদেশে যে যেভাবে পারে যতটুকু বোঝে সবাই ভাল সেবা পেতে চায় সে জন্য খরচের প্রসঙ্গটা এসে যায়। ভাল সেবার জন্য কেউ গ্রাম থেকে শহরে যাচ্ছে, আবার বিভিন্ন শহর থেকে সেবার জন্য ঢাকাতে যাচ্ছে। যাদের আর্থিক অবস্থা ভাল তারা আরও ভাল চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছে।
স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা পুরোপুরি বাংলাদেশে করা সম্ভব কিনা এর উত্তরে ড. তাসমিয়া তাহমিদ বলেন, ভাল চিকিৎসা হাতে গোনা কয়েকটি সেন্টারে পাওয়া যাবে। ভাল চিকিৎসা পাওয়াটা নির্ভর করে রোগীর অবস্থা কোন পর্যায়ে আছে বা সে কতটুকু রোগ নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসে। ক্যান্সার যদি মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায় তাহলে তেমন কিছ ুকরার থাকে না। এর চিকিৎসা সেবা সীমিত।
স্তন ক্যান্সার কেন শুরুতে বুঝা যায়না এর উত্তরে ড. তাসমিয়া তাহমিদ বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে যখন এটা শুরু হয় তখন ছোট একটা বিন্দুর মত থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সেটা হাতে লাগার কথা না। যখন বড় হয়ে ধরা পড়ে তখনই তারা ডাক্তারের কাছে যান। সেগুলো তখন আর প্রাথমিক পর্যায়ে না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। যে কারণে স্ক্রিনিং এর প্রয়োজন আছে। তাতে লাভ হবে হাতে লাগার আগেই বা ধরা পরার আগেই যাতে আমরা ক্যান্সার বুঝতে পারি। স্ক্রিনিং এর জন্য বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের রিকমেনডেশন হল ৪০ বছর বয়স থেকে শুরু হলে ভাল হয়। আর অন্যান্য দেশে ৪৭ বছর বয়স থেকে এটা শুরু করা হয়। প্রতি তিন বছরে একবার মেমোগ্রাম বা ব্রেষ্টের ্এক্সরে করলে ৮৫ শতাংশ স্তন ক্যান্সারই শনাক্ত করা সম্ভব।

অন্যরকম