খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১ নভেম্বর ২০১৫ : মায়াতে ইসলামীর লবিংয়ের কারণে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
শনিবার ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তা’ শিরোনামে একটি গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যক্তির পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধী দলের বিচারের দাবি তোলেন তিনি।
শাহরিয়ার কবির বলেন, “জামায়াত, রাজাকার, আল-বদর এসব সংগঠনের বিচার না করে, শুধু কয়েকজন ব্যক্তির বিচার করে সরকার বসে থাকলে এই বিচার আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এজন্য জামায়াতসহ যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য সংগঠনগুলোর বিচারও করতে হবে।
“এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার করতে হবে।”
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এই নেতা বলেন, “জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার হবে আর জামায়াত বসে থাকবে তা ভাবার কোনো কারণ নেই। তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। সে লবিস্ট নিয়োগের ফলেই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংগঠনগুলো একতরফা বক্তব্য দিচ্ছে।”
এসব সংগঠনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমাদের দেশের আইনে আমাদের দেশের অপরাধীর বিচার হচ্ছে। তা নিয়ে কোনো বিদেশি সংগঠন প্রশ্ন তুলতে পারে না। এ অধিকার তাদের নেই। এটা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ।”
রিজিওনাল অ্যান্টি টেরোরিস্ট ইনস্টিটিউট (রাত্রি) এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজসহ অনেকে আলোচনায় অংশ নেন।
তুরিন আফরোজ বলেন, “হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংগঠন যদি যুদ্ধাপরাধের বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাহলে আমি বলব, নিজেদের প্রশ্ন করুন আপনারা কতটুকু স্বচ্ছ