Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১ নভেম্বর ২০১৫ : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. 68আনিসুল হক বলেছেন, নগরবাসীর নিরাপত্তায় আগামী দুই বছরের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের সকল সড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আগামী জুনের মধ্যে গুলশান, বারিধারা, নিকেতন এলাকার সকল সড়ক সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে। ইতোমধ্যে একাজ শুরু হয়েছে।’
তিনি আজ বিকেলে রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক আয়োজিত সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
মেয়র বলেন, গাজীপুরের টঙ্গী থেকে রাজধানীর মগবাজার পর্যন্ত সড়কে কোন রাইট টার্ন থাকবে না। যানজট কমাতে এই সড়কে ৪ থেকে ৫টি ইউলুপ করা হবে। কোনভাবেই এই সড়কে রাইট টার্ন হবে না।
তিনি বলেন, টঙ্গী গাজীপুর, বনানী, কাকলী, মগবাজার রোডে রাইট টার্ন বন্ধ হলে যানজট অনেক কমে যাবে।
আনিসুল হক বলেন, রাজধানীর রিকশা নিয়ন্ত্রণের জন্যেও কাজ চলছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হবে।
ব্র্যাকের পরিচালক আহমেদ নাজমুল হুসেইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগ) উপ-পুলিশ কমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সড়কে আবর্জনা না ফেলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ডিএনসিসি’র ৭২টি পয়েন্টে ডাম্পিং স্টেশন হচ্ছে। এরপর আর কোন দোকানদার দোকানের সামনে রাস্তায় ময়লা ফেলতে পারবে না। নির্দেশ না মানলে প্রয়োজনে দোকান বন্ধ করে দেয়া হবে।
উপ-পুলিশ কমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ তার প্রবন্ধে বলেন, ঢাকা শহরে প্রায় ৯ লাখ ৩ হাজার ৮০৩টি নিবন্ধিত যানবাহন রয়েছে। গত তিন মাসের ব্যবধানে প্রায় ২৬ হাজার যানবাহন বেড়েছে। ঢাকায় নিবন্ধিত রিকশার সংখ্যা ৮০ হাজার। রেজিস্ট্রেশনহীন রিকশার সংখ্যা প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ।
তিনি জানান, যে কোনো মহানগরের মোট জায়গার ২৫ শতাংশ রাস্তা থাকার কথা। অথচ ঢাকায় আছে ৭ থেকে ৮ শতাংশ। এর মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ যানবাহন চলাচলের কাজে ব্যবহার করা যায়। বাকি রাস্তা দোকানপাট ইত্যাদিতে বেদখল হয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার কারণে নিম্ন এবং মধ্য আয়ের দেশগুলোর জিডিপিতে বাৎসরিক ক্ষতির পরিমাণ ১ দশমিক ২ শতাংশ যা ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সমান। এদিক থেকে বাংলাদেশ অন্যতম প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।
আজ থেকে শুরু হয়ে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে এই বিশেষ ক্যাম্পেইন চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ক্যাম্পেনের স্থানগুলো হচ্ছে আসাদ গেইট বাস স্ট্যান্ড থেকে-মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড, মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে শিয়া মসজিদ, শিয়া মসজিদ থেকে শ্যামলি রোড এবং শ্যামলি রোড থেকে আসাদ গেইট পর্যন্ত।