খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১ নভেম্বর ২০১৫ : ঘরোয়া ক্রিকেটেও দেখা যাচ্ছে তাঁর পুরোনো সেই ধার। বয়স, প্রতিভা আর ফর্ম বিবেচনায় আরও একবার জাতীয় দলে তাঁকে দেখা যেতেই পারে। তবে প্রশ্ন আরেক জায়গায়—তাঁর সততাই যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। একবার পাপ করে আবার ফেরার সমস্যা হলো, সেই পাপীকে অনেকেই আর বিশ্বাস করতে চায় না। এমনই সমস্যায় পড়েছেন মোহাম্মদ আমির। পাকিস্তানি পেসারকে জাতীয় দলে দেখতে চায় না তাঁর সতীর্থরাই!
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে খবরটি ফাঁস করেছেন পিসিবিরই এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কিছুদিন আগে ক্রিকেট একাডেমির প্রশিক্ষণে আমিরের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন একাডেমির প্রধান কোচ মোহাম্মদ আকরাম। কিন্তু জাতীয় দলের ওপেনার হাফিজ তখন নেট থেকে বেরিয়ে আসে। ওর কথা, কলঙ্কিত এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলবে না।’
মোহাম্মদ হাফিজ শুধু নন, পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিও স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্তদের দলে নেওয়ার পক্ষে নন। তিনি তো বলেই দিয়েছেন, এতে সৎ খেলোয়াড়দের প্রতি অবিচার করা হবে। টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ-উল হকও নাকি প্রচণ্ড বিরক্ত আমিরের ওপর। বোর্ডের ওই কর্মকর্তাই জানালেন মিসবাহ এবং আমিরের মধ্যে ঘটে যাওয়া আরেক ঘটনা। সূত্রের ভাষ্যমতে, ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য দেশছাড়ার আগে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে আমিরের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছিল মিসবাহর। কিন্তু আমির নাকি মিসবাহকে পাত্তাই দেননি। জাতীয় দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ও নাকি বোর্ডের কাছে নানাভাবে নিজেদের অসন্তোষ জানিয়েছেন আমিরের ব্যাপারে।
আমিরদের আচরণও ব্যাপারটিকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। কদিন আগেই মাঠে বাজে আচরণের কারণে ম্যাচ ফির ১৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল। পিসিবিও ব্যাপারটি মাথায় রাখছে। ওই কর্মকর্তা জানালেন, ‘আমির এবং আসিফের আচরণের প্রাথমিক যেসব রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে তা ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে না। ভুল থেকে শিক্ষা নেবে এটাই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তা দেখা যায়নি। দুজনের আচরণে মনে হচ্ছে না পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝছে তারা।’
পিসিবির চেয়ারম্যান তো জানিয়ে দিয়েছেন, আচরণে পরিবর্তন না এলে দলে ফেরার আশা ছেড়ে দিতেই পারেন আমির।
–