খোলাবাজার২৪, রবিবার, ০১ নভেম্বর ২০১৫
কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও একটি ছোট্ট জেলা শহর। পাহাড়, পর্বত, সমদ্র, উপকুল বা মরুপ্রান্তর কোনটাই এখানে নেই। ঠাকুরগাঁও জেলার যে দিকে চোখ যায় সমতল ভূমি। বিরাট এলাকার জুড়ে রয়েছে ঠাকুরগাঁয়ের সীমানা। শত শত বছর আগে ঠাকুরগাঁও অন্তর্ভুক্ত এই এলাকাগুলোতে একটু সংস্কৃতি নিয়ে গড়ে উঠা জনপদের ও পশুপাখির নমুনা পাওয়া যায়। তাই এই জেলায় পাওয়া যায় যুগ যুগ ধরে গড়ে ওঠা পাখির বসতির বৈচিত্র ইতিহাস আর প্রাচীন কৃতিসমূহ। অনেক আগে এখানে পাখির হাট বা মেলা বসত। কয়েক বছর ধরে প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে পাখি দেখা যায় না। পাখি পালন একটি সহজ কাজ নয়? পাখি পালন হচ্ছে একটি কষ্টকর ও সৌখিন মানুষের কাজ। ঠাকুরগাঁও শহর থেকে ১০০ গজ দুরে অবস্থিত ফকির পাড়া (চানমারি পাড়া) নামক স্থানে আবুল কালাম আজাদ (৫৫) একটি সৌখিন পাখি খামার গড়ে তোলে। সে পাখি পালন করে বেকার সমস্যা দুর করা এবং দেশী-বিদেশী পাখি ক্রয় করে বিক্রি করে। কালামের মোট ৫ সদস্যের একটি ছোট্ট সংসার। তার বড় ছেলের নাম নাইমুর ইসলাম। বয়স ১২ নবম শ্রেণির ছাত্র। রিয়া আক্তার বয়স ৮, ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ভাই পুলক (সনেট) এই হলো কালামের ছোট্ট সংসার। সে অনেক ব্যবসা করেছে তার একটি ব্যবসা ঠাকুরগাঁও চা ঘর অতি পরিচিত। সে বেকার সমস্যা দুর করার জন্য সে পাখি পালন করে। তার নিজ খরচে রাজশাহী, নাটোর, ডিমলা, লালমনির হাটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পাখি সংগ্রহ করে। তার পাখির নাম হলো বাজরিকা, অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু, প্রিন্স পাখি এ রকম সে নানা প্রজাতির পাখি ক্রয়-বিক্রয় করে। তার সংগ্রহীত পাখির পরিমাণ প্রায় ৫০০ পিস এবং অন্যান্য ১ হাজার পিস। প্রতি পাখির জোড়া গুলো হলো ১ হাজার, ৮শ’ এবং ১৫শ’ টাকা। এই পাখি থেকে সে অনেক টাকা আয় করে সংসার চালায়। সে সৎ প্রকৃতির মানুষ, সে পাখি পালন করে সংসার চালায়। তার পাখি থেকে অনেক আয় হয়। প্রতি বছর সে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় করে এই পাখির ব্যবসা থেকে এবং সে পাখির পেছনে খরচ করে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আবুল কালাম আজাদ বলেন সরকার যদি একটু এগিয়ে আসত তাহলে সে অনেক বেকার ছেলেদের সমস্যার সমাধান করত। টাকার অভাবে সে অনেক পাখি বিক্রি করেছে। তার অনেক নানা রঙের পাখি ছিল যা এখন আর নেই। নিজ খরচে এই সব পাখি পালন করেন তিনি। নিজের চোখে না দেখলে নয়। পশুপাখি হলো বাংলাদেশের প্রতীক। জাতীয় পাখি দোয়েল এবং শান্তির প্রতীক পায়রা। বাংলাদেশ সরকার যদি একটু এগিয়ে আসত তাহলে সে আরো নানা প্রজাতির পাখি সংগ্রহ করতে পারতো। তিনি আরো বলেন তার পর্যাপ্ত পরিমান সামর্থ থাকলে নানা ধরনের বাণিজ্য মেলায় পাখি প্রদর্শীর ব্যবস্থা করত। সে নিজের অক্লান্ত শ্রম ও নিজ খরচে এগিয়ে যাচ্ছে।