খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২ নভেম্বর ২০১৫: দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি না থাকায় বাকি খেলোয়াড়েরা এক ধাপ এগিয়ে পারফর্ম করেছে-এমন কথা মানতে নারাজ লুইস এনরিকে। তবে গেতাফের বিপক্ষে সহজ জয়ের পর খেলোয়াড়দের মধ্যে একতা বেড়েছে বলে জানান বার্সেলোনা কোচ।
গেতাফের মাঠে ২-০ ব্যবধানে জিতে পয়েন্টের হিসেবে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পাশেই থাকল কাতালান দলটি। দুদলের পয়েন্ট ২৪, গোল ব্যবধানে এগিয়ে রিয়াল।
চোটের কারণে অনেক দিন ধরেই মাঠের বাইরে মেসি। দলের সেরা তারকার অনুপস্থিতি অবশ্য নেইমার ও লুইস সুয়ারেসের নৈপুণ্যে কাটিয়ে উঠেছে বার্সেলোনা।
আর্জেন্টাইন তারকাকে ছাড়া গত মাসের শুরুতে সেভিয়ার কাছে হারলেও লিগের পরের তিন ম্যাচে সহজেই জেতে বার্সেলোনা। এই ম্যাচগুলোর প্রতিটিতেই আক্রমণভাগে দুর্দান্ত খেলেন নেইমার-সুয়ারেস জুটি।
এই তিন ম্যাচে মোট ১০টি গোল করে বার্সেলোনা, যার ৯টিই নেইমার (৫) ও সুয়ারেসের (৪)।
গেতাফের বিপক্ষে শনিবার রাতেও পুরোটা সময় জুড়ে দুর্দান্ত খেলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। আর আক্রমণভাগে দাপুটে রূপ ধরে রাখেন সুয়ারেস। প্রথমে সুয়ারেসের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর নেইমারের গোলে জয় নিশ্চিত হয় বার্সেলোনার।
জয়ের ব্যবধান বড় না হলেও পুরো ম্যাচে একচেটিয়াই খেলে বার্সেলোনা। আক্রমণের পর আক্রমণ করে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে সবসময়ই চাপে রাখে তারা। দলের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পর দলের একতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এনরিকে।
“কিছু খেলোয়াড়ের চোটের কারণে কখনোই আমি অন্যদের কাছে বেশি চাইনি। সবাই একটু বেশি দিচ্ছে, তবে এক জন খেলোয়াড় সবসময়ই সেরাটা দিতে চায়। সেটা দলে এক জনের অনুপস্থিতির কারণে নয়।”
মেসি না থাকার পরও ধারাবাহিক সাফল্যের কারণ হিসেবে এনরিকে বলেন, “আসলে কারণ হলো, দলের একতা বেড়েছে এবং সবাই পরিপক্ক হয়েছে।”
আলাদা করে নেইমার ও সুয়ারেসের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন এনরিকে। তাছাড়া চোট কাটিয়ে অনেক দিন পর মাঠে ফেরা আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার প্রশংসা করে কোচ বলেন, “সে সেরা মিডফিল্ডার, শুধু ইউরোপেই নয়, বিশ্বেরও।