খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২ নভেম্বর ২০১৫: শচীন টেন্ডুলকারকে নিয়ে তাঁর মন্তব্য আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। বেশি করে খেপেছে মুম্বাইয়ের লোকজন। কপিল দেবের মূল বক্তব্য যে ছিল ‘শচীন ডাবল-ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে জানত না’ আর ‘মুম্বাইয়ের বৃত্ত থেকে বেরোতে হতো ওর’। তবে সমালোচনার মুখেও পিছু হটলেন না কপিল। বরং নিজের মতের প্রতি অটল রইলেন। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের একটাই কথা, ‘আমি তো ওকে খাটো করিনি, বরং ওর প্রশংসাই করেছি।’
ভারতের শীর্ষ দৈনিক হিন্দুকে কপিল বলেছেন, ‘সব সময়ই বলেছি শচীন ছিল অসাধারণ এক ক্রিকেটার, ভিভের (রিচার্ডস) চেয়েও প্রতিভাবান। ওর সামর্থ্য ছিল আরও বেশি আগ্রাসী হওয়ার। কিন্তু ওর কাছে যতটা প্রত্যাশা করা হয়েছিল ও ততটা দিতে পারেনি। হ্যাঁ ও ১০০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেছে, কিন্তু ওর আরও বেশি করার সামর্থ্য ছিল।’
কপিলের বক্তব্য, এর কোনোটাই টেন্ডুলকারের রূঢ় সমালোচনা নয়। বরং তাঁর প্রতি মুগ্ধতা থেকেই, ‘ওকে আর অন্য কী ভাবে ব্যাখ্যা করব। ওর যতটুকু পাওয়ার কথা ছিল ততটুকু পায়নি। এটাকে বরং আমি ওর প্রশংসা হিসেবেই দেখি। ওর পক্ষে আরও ভালো করার কথা ছিল। আমি কি ভুল বলেছি? ও যখন মাত্র নাম কামাতে শুরু করল, সে সময় ওর বিপক্ষে একবার বোলিং করেছিলাম। ও আমাকে মিড-অফের ওপর দিয়ে এমনভাবে তুলে মারল, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। এত অনায়াসে আমাকে মেরেছে, যেন আমি ছিলাম অফ-স্পিনার। ওর প্রতিভায় এখানেই মুগ্ধ করেছি।’
শুরুর এই পূর্বাভাসকে সত্যি করে ব্যাটিংয়ের সব প্রধান রেকর্ড নিজের করে নিয়েই অবসরে যান টেন্ডুলকার। কিন্তু টেস্টে তাঁর নামের পাশে একটিও ট্রিপল সেঞ্চুরি নেই। শেবাগ-গেইলদেরও যেখানে আছে দুটি করে ট্রিপল সেঞ্চুরি। কপিল এর আগে বলেছিলেন, টেন্ডুলকার নিখুঁত টেকনিকের ওপর বেশি জোর দিতে গিয়েই খুনে মেজাজটি হারিয়েছেন। আরও আগ্রাসী হতে পারলে তাঁর নামের পাশেও ট্রিপল সেঞ্চুরি থাকত।
সে কথা আবারও বললেন কপিল, ‘শচীন ওর সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল। কিন্তু ও যতটা বিকশিত হবে ভেবেছিলাম, ততটা হয়নি। ১৯৯৮-এর শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কর্তৃত্ব নিয়ে খেলা শচীনকেই আমার ভালো লেগেছিল। স্ট্রোকের দ্যুতিতে ওর বোলারদের গলির বোলার বানিয়ে ছেড়েছিল। কিন্তু ক্যারিয়ারের একটা পর্যায়ে এসে সেই শচীন কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল।’
টেন্ডুলকার-ভক্তরা ভুল বুঝেছেন বলেই দাবি কপিলের, ‘গাভাস্কার প্রায়ই বলে আমার আরও ৫ হাজার বেশি রান করা উচিত ছিল। আমিও তাতে একমত, ব্যাটিংটা আরও সিরিয়াসলি নিতে পারতাম। গাভাস্কারের মন্তব্যটিকে আমি কিন্তু ভুলভাবে নেইনি।’