খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২ নভেম্বর ২০১৫: কর্মকর্তার কক্ষ ভাংচুরের ঘটনায় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘নালিশ’ দিয়েছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবরা কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ চেয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে দেখা করেছেন।
জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানের ব্যানারে নিজের নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় রোববার যুগ্ম-সচিব মো. মাশুক মিয়ার কক্ষে ভাংচুর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফুটবলার থেকে রাজনীতিতে নেমে এবার উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া জয় দাবি করেছেন, ভাংচুর নয়, নিজের রুমে ডেকে যুগ্ম-সচিবকে ‘শাসিয়েছিলেন’ তিনি।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক জয় ২০১২ সালে ম্যাচ চলাকালে পকেটে অস্ত্র নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে সমালোচিত হন।
সোমবার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বেশ থমথমে পরিবেশ দেখা যায়। তবে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীই কক্ষ ভাংচুরের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।
উপমন্ত্রী জয়ও মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে আসেননি। যুগ্ম-সচিব মাশুক মিয়ার কক্ষও ছিল তালাবদ্ধ। প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষ করেই আরেকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মন্ত্রণালয় ছাড়েন।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “যুগ্ম-সচিবের কক্ষ ভাংচুরের ঘটনায় সিনিয়র সচিবদের মাধ্যমে উপমন্ত্রীর নামে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়েছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।”
তবে কোন সচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানানো হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা।
ক্রীড়া সচিব নূর মোহাম্মদ সোমবার বলেন, কক্ষ ভাংচুরের ঘটনাটি তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে জানিয়েছেন।
“আমি তো আর এর বেশি কিছু কিছু করতে পারি না। তবে আমার কর্মকর্তাদের প্রটেকশনের দায়িত্ব আমার। আমি অবশ্যই এসব বিষয় দেখব।”
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কক্ষ ভাংচুরের ঘটনাটি তিনি শুনেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না-জানতে চাইলে তিনি তার কোনো উত্তর দেননি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘অফিসিয়ালি’ লিখিত কিছু না পেলেও ঘটনাটি তাকে জানানো হয়েছে।
কর্মকর্তার কক্ষে ভাংচুরের পর এনিয়ে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে উপমন্ত্রীর কোনো কথা হয়েছে কি না বা বিষয়টি মীমাংসার কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে ক্রীড়া সচিব বলেন, “উপমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।
“সমাধান নিজেদের কাছে, সমস্যা আছে, তার সমাধানও আছে, দেখা যাকৃ।”
তার সঙ্গে যুগ্ম-সচিবদের দেখা করার বিষয়টি স্বীকার করে নূর মোহাম্মদ বলেন, তারা কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ চেয়েছেন এবং পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে কাজ করতে চান।
যুগ্ম-সচিবের অফিসে না আসার বিষয়ে জানতে চাইল সচিব বলেন, “দ্যাখেন, ২৭-২৮ বছর ধরে চাকরি করার পরেও যদি এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তবে কার না খারাপ লাগে