Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

86খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২ নভেম্বর ২০১৫: আমাদের কাছে নতুন কোনো মেয়ে এলে, তাকে প্রথমে যশোর কোতোয়ালি থানার সদর ফাঁড়িতে নিতে হয়। তারা রাখার অনুমতি দিলেই আমরা তাকে রাখতে পারি। এ জন্য পুলিশকে ৫০-৬০ হাজার টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া প্রত্যেককে মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা করে পুলিশকে দিতে হয়। তাই যৌনকর্মী তৈরি করে পুলিশ, আমরা না। আর এ নিয়ে কিছু বলতে গেলেই আমরা মামলার আসামি হই। তা কেন হবে?’
আজ সোমবার যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এক যৌনকর্মী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদ জানান যৌনকর্মীরা।
সম্মেলনে অন্তত ১০ জন যৌনকর্মী পুলিশের অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন। তাঁদের ভাষ্য, বছরের পর বছর নির্যাতিত হলেও সদর ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা সাবেক কর্মকর্তা শহর উপপরিদর্শক (টিএসআই) রফিকুল ইসলামের ভয়ে তাঁরা এত দিন মুখ খোলার সাহস পাননি। সম্প্রতি রফিকুল যশোর থেকে বদলি হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় যোগ দিয়েছেন। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগ করার সুযোগ পেয়েছেন।
যৌনকর্মীরা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি যৌনপল্লিতে এক মেয়েকে যৌনকর্মে বাধ্য করার অভিযোগে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ২৯ অক্টোবর টিএসআই রফিকুল যশোরে এসে দুই যৌনকর্মীকে ডেকে নিয়ে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। অন্যথায় তাঁদেরও ওই মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন রফিকুল। রফিকুলের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান যৌনকর্মীরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে হেয় করার জন্য এসব অভিযোগ করা হচ্ছে।’
যশোর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী পুলিশ সুপার শাফিন মাহমুদ বলেন, ‘রফিকুলের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।