খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২ নভেম্বর ২০১৫: আগামীকাল ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র সংগঠনের শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ। সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। এরপর সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদ ও জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত।
পাশাপাশি রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামরুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত পালন করা হবে। সোমবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কর্মসূচি জানিয়েছেন। এসব কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলের সব শাখা এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মী-সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। জাতীর জীবনে এক কলঙ্কময় দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পরে জাতির পিতার আজীবন রাজনৈতিক সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মুনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে এই দিনে জেলখানার অভ্যন্তরে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। জাতির পিতাকে হত্যা করার পর খুনি মোশতাক ও জিয়াচক্র এদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এবং এদেশ যাতে কোনদিন স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেই কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান জেলখানার অভ্যন্তরে জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করা হয়। দেশের আপামর জনতা যাদের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে মাত্র ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এদেশেকে স্বাধীন করেছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব নগর সরকারের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে এদেশের জনগণকে একত্রিত করে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করে বিজয়ের পতাকা উঠিয়ে ধরেছে, সেই চার নেতাকে চরম নির্মমতার স্বাক্ষর রেখে ৩ নভেম্বরে হত্যা করা হয়।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমগ্র জাতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শোকাবহ এ দিবসটিকে স্মরণ ও পালন করবে।