খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০১৫: সাধারণত ১৭ বছর বয়সে কোনো ছাত্রের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই শেষ হয় না। কিন্তু মোশে কাই কাভালিনের এ বয়সে রয়েছে ২টি দুটো কলেজ ডিগ্রি। সেটা না হয় থাকতে পারে কিন্তু এ বয়সেই সে বিমান চালিয়ে আকাশে উড়তে পারে। কিন্তু ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় একা গাড়ি চালানোর আইনি ছাড়পত্র এখনও পায়নি সে।
বলতেই পারেন জীবন তার বৈপরীত্যে পূর্ণ। ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান গ্যাব্রিয়েলের এই সতেরোর তরুণ এই বয়সের মধ্যেই কিন্তু নিজের মতো অনেক কীর্তি স্থাপন করে ফেলেছে। মাত্র ১১ বছরেই কমিউনিটি কলেজ থেকে স্নাতক। তার ঠিক ৪ বছরের মাথায় ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে আবারও স্নাতক, এবার অঙ্কে। এখন সাইবার সিকিওরিটিতে অনলাইনে ব্র্যান্ডেইস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পাঠ নিচ্ছে কাভালিন। এর মধ্যেই ডাক পায় নাসার। বিমান ও ড্রোনের নজরদারি প্রযুক্তির উদ্ভাবনে, নাসাকে সাহায্য করার জন্যই ডাক পড়ে ক্যালিফোর্নিয়ার এই তরুণের। সানন্দে এই প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশ করে, আপাতত মাস্টার্সে ইতি টেনেছে সে।
এসব তো রয়েছেই। এর মধ্যেই তার লেখা ২টি বইও প্রকাশ হয়ে গিয়েছে! মার্শাল আর্ট? তাতেও সে তুখোড়। ঘরে প্রচুর পুরস্কার নিয়ে এসেছে। কাভালিন জানায়, এ বছরের শেষেই সে বিমানচালকের লাইসেন্স হাতে পেয়ে যাবে।
এত গুণের অধিকারী হলেও, আর ৫ জন সাধারণের মতোই নিজেকে মনে করে এই তরুণ। নাসার ফ্লাইট রিসার্চ সেন্টারে গবেষণারত এই তরুণ জানায়, ‘আমি বিশেষ কিছুই করিনি। যা করেছি, যেটুকু করেছি, সেই কৃতিত্বও মা-বাবার। প্রেরণা, অনুপ্রেরণা- সবটাই তাদের কাছ থেকে পাওয়া। আমি শুধু চেষ্টা করেছি, সবসময় আমার সেরাটা দিতে।’
মা জন্মসূত্রে তাইওয়ানের নাগরিক, বাবা ব্রাজিলিয়ান। তারাও মনে করেন, সন্তান জিনিয়াস কিছু নয়। সবটাই তার মধ্যে এসেছে স্বাভাবিক ভাবে। তার একসময়কার অঙ্কের শিক্ষক ড্যানিয়েল জজের কথায়, ও খুব পরিশ্রম করতে পারে। কাউকে ওর মতো পরিশ্রম করতে দেখিনি। এই ড্যানিয়েলের কাছে ২ বছর অঙ্কের পাঠ নিয়েছে কাভালিন।
প্রসঙ্গতত, তার লক্ষ্য ভবিষ্যতে জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী হওয়া। সেই লক্ষ্যের দিকেই দ্রুত এগোচ্ছে সে।