খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০১৫: নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীদের মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন জামিনের আবেদন নাকচ করে মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সানাউল্লহ মিয়া বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পল্টন থানার তিনটি মামলায় আজ বেলা আড়াইটার দিকে মির্জা ফখরুল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তা নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে ফখরুলের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের শুনানি হয়। কিন্তু আদালত তাঁর জামিনের মেয়াদ বাড়াননি। এতে তিনি আজ বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
১৩ জুলাই শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে মির্জা ফখরুলকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন ছয় সপ্তাহের জন্য বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরে দুই দফায় তাঁর জামিনের মেয়াদ বাড়ান আদালত।
চলতি বছরের শুরুতে ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার ঘটনা ঘটে। ৬ জানুয়ারি মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে নাশকতার অভিযোগে পল্টন ও মতিঝিল থানার সাতটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর মধ্যে পল্টন থানার মামলা ছয়টি ও মতিঝিল থানার একটি। সব মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।
১৪ জুলাই তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান। দেশে ফেরেন সেপ্টেম্বরে।