খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০১৫: দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলেও এমন আভাস ছিল না। রাজশাহীর চেয়ে ২০৮ রানে পিছিয়ে ছিল ঠিকই, তবে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১১ রানে দিন শেষ করা সিলেট বিভাগ বড় ইনিংস গড়তে যাচ্ছে, এমনটাই ছিল প্রত্যাশা। অথচ তৃতীয় দিনের শুরুতেই পাল্টে গেল সব। মাত্র ১৭ রানে সিলেটের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জয়ের সব আয়োজন প্রথম ঘণ্টাতেই করে ফেলেছিল রাজশাহী বিভাগ। বাকি আনুষ্ঠানিকতা সেরেছে তারা ১০ উইকেটের জয়ে। রুমান আহমেদের সেঞ্চুরিটা তাই শুধু আক্ষেপ হয়েই থেকে গেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪২ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় রাজশাহীর লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল যে মোটে ২৪ রান! সহজ এ লক্ষ্য মাত্র ৬.২ ওভারে পেরিয়ে গেছে রাজশাহী।
এই জয়ে শেষ রাউন্ডে বোনাসসহ রাজশাহীর খাতায় যোগ হয়েছে ১৭ পয়েন্ট। তাতে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্তরে থাকা দলগুলোর তালিকার শীর্ষে বসেছে তারা। প্রথম স্তরে ওঠার শঙ্কা কাটেনি তবু, মাত্র ১ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে যে বরিশাল বিভাগ! বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে যারা চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে করেছে ৪৮৯ রান। জবাবটা দারুণ দিচ্ছে চট্টগ্রামও। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে মমিনুল হকের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিতে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা ৮ উইকেটে ৪২৩ রানে। আগের দিন ৬৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা মমিনুল ৩২২ বলে খেলেছেন ২৩৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ড্রয়ের দিকে এগোনো এ ম্যাচ থেকে অন্তত ৩ পয়েন্ট পাওয়ার কথা বরিশালের, তাতে রাজশাহীকে টপকে প্রথম স্তরে ফেরার সম্ভাবনা বেশ জোরালো তাদের।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচের তৃতীয় দিনে রংপুর ৭ উইকেটে করেছে ৩১৪ রানে। ঢাকা বিভাগ-ঢাকা মেট্রোর তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত হয়েছে।
সিলেট-রাজশাহী : সিলেট : ১৭৬ ও ২৪২ (রুমান ১০৬, কাপালি ৩১; সানজামুল ৩/৯০)। রাজশাহী : ৩৯৫ ও ২৬/০ (অভিষেক ১৯*, জুনায়েদ ৭*)। ফল : রাজশাহী ১০ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ফরহাদ হোসেন।
বরিশাল-চট্টগ্রাম : বরিশাল : প্রথম ইনিংস ৪৮৯। চট্টগ্রাম : প্রথম ইনিংস ১২০ ওভারে ৪২৩/৮ (মমিনুল ২৩৯, নাফিস ৫৬; মনির ৩/৬৪)।
রংপুর-খুলনা : রংপুর : প্রথম ইনিংস ১০৪.৩ ওভারে ৩২৪/৭ (তানভীর ১০৬, ধীমান ৬৯, রাজ্জাক ৪/১২৪)।