খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০১৫: হাজতবাসের সময় ধরে আসামির সাজার মেয়াদ কমানোর বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ক ধারার সুবিধা থেকে বঞ্চিত কতজন দণ্ডিত আসামি বিভিন্ন কারাগারে রয়েছে, তার তালিকা চেয়েছে হাই কোর্ট।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ রুলসহ এ নির্দেশনা দেয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাজার মেয়াদ থেকে হাজতবাসের সময় বাদ দেওয়া সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ক ধারাটি অনুসরণ না করা কেন বে আইনি ঘোষণা করা হবে না- রুলে তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ক ধারার সুবিধাবঞ্চিতদের পাশাপাশি সাজার মেয়াদ শেষের পরও কারাগারে থাকা আসামিদেরও একটি তালিকা দাখিল করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা মহাপরিদর্শকে নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লিখিত ধারা অনুসারে, মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার যোগ্য অপরাধ ছাড়া অন্য কোনো অপরাধে বিচার চলাকালীন কোনো আসামি হাজতে থাকলে হাজতবাসের সময়টা কারাদণ্ড ভোগের সময় হিসেবে গণ্য হবে।
এই ধারাটি প্রয়োগ না করায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা ৪৩ দণ্ডিত আসামি সুবিধাবঞ্চিত হয়েছে বলে রোববার রিট আবেদনটি করে আসক।
মঙ্গলবার আদালতে আসকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অবন্তী নুরুল। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী মাহজাবীন রাব্বানী ও সামিউল আলম সরকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনালের তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
পরে অবন্তী নূরুল বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ক ধারা অনুসারে কোনো ব্যক্তির বিচার চলাকালে হাজতবাসের সময় তার কারাদণ্ডের মেয়াদ থেকে বাদ যাবে; হাজতবাসের সময়টা কারাদণ্ড ভোগের সময় হিসেবে গণ্য হবে।
“অথচ বিচারিক আদালতের রায়ে ক্ষেত্রবিশেষে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাজার মেয়াদ থেকে হাজতবাসের সময় বাদ না দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ না থাকলে কারাকর্তৃপক্ষ তা বাদ দেয় না। ওই বিধানটি অনুসরণ করা না হওয়ায় রিটটি করা হয়।”
স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা মহাপরিদর্শক, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ও জেলারসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান প্রতিকার চাকমা।
রুলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ক ধারার সুবিধাপ্রাপ্ত হলে ওইসব (৪৩ জন) আসামিদের মধ্যে যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে যেত তাদের কেন মুক্তি দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।