খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০১৫: মিয়ানমারের মুসলমানরা এবার ভারত ও পাকিস্তানি বলে স্বীকৃতি পাচ্ছে নিজ দেশের প্রশাসন থেকে। সম্প্রতি বহুল প্রত্যাশিত সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন আলোচনা তুঙ্গে। আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনের ভোটের হিসাব নিকাশ নিয়ে প্রথম থেকেই ছিল ‘ধর্ম’ রাজনীতির অগাধ ব্যবহার। এরমধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এ রাষ্ট্রটিতে বঞ্চিত হতে যাচ্ছেন মুসলমান ভোটাররা।
অভিযোগ উঠেছে আদি মুসলমানদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার পেতে তাদের ভারতীয় ও পাকিস্তানের পরিচয় দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া,ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশটির প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী।
যুক্তরাজ্য অবস্থিত মিয়ানমিার ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘বার্মা ক্যাম্পেইন’ এর পরিচালক মার্ক ফারমেনার বলেন, ‘মিয়নমারের মুসলমানরা সবসময় নিজেদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে বিশ্বাস করেন। কিন্তু বর্তমানে তাদের বিদেশি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে’।
সম্প্রতি,দেশটিতে স্থানীয় মুসলমানদের জাতীয় পরিচয়পত্র করার ক্ষেত্রে নিজেদের পাকিস্তানি ও ভারতীয় হিসেবে নিবন্ধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মান্দালয় অভিবাসন বিভাগের প্রধান ইউ থাং জ জানান,যে কোনও নারী বা পুরুষ মুসলমান ধর্মাবলম্বী হলেই আমার তার জাতীয়তা ভারত লিখে দিচ্ছি’।
তবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন অনেক মুসলমান অধিবাসী। তাদেরই একজন হাজ ইয়ান আং। তিনি বলেন, মান্দালায় এক একটি মসজিদের বয়স দেড়শ থেকে দুশো বছর। এরপরও যদি জাতীয় পরিচয় পত্রে আমাকে ভারতীয় পরিচয় করে দেওয়া হয় তাহলে আমি সেই ভোটাধিকার চাইনা’। সূত্র:গার্ডিয়ান।