Mon. May 5th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

31খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০১৫: রামপুরা থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছেন। আদালত জামিন আবেদন গ্রহণ না করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। মঙ্গলবার হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা, সালাউদ্দিন আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হাবিবুর রহমান হাবিব ও শফিকুল ইসলাম বাদশা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ২১ জনের ব্যাপারে আইনজীবী কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অন্যদিকে খোকাসহ ১৪ জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২০১৫ সালের ২০ মার্চ রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মামুনুর রশিদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ১৪ জনকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।
২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর রামপুরা থানাধীন মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় বিএনপি-জামায়াতের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি পালনের সময় ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই ঘটনায় মানসুর প্রধানিয়া নামে একজন মারা যান। ৩০ ডিসেম্বর ওই ঘটনায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম-মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান ও সালাউদ্দিন আহমেদসহ ৪৯ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে।