Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

76খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০১৫: আজকাল বেশিরভাগ মানুষই বিশেষ করে শিশুরা ঘরের চেয়ে বাইরের খাবারের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। এসব খাবার যেমন খেতে মজাদার তেমন সহজলভ্য হয়ে ওঠায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শিশুরা ঝুঁকে পড়ছে চিপস, ফ্রাইড চিকেন ইত্যাদির দিকে। এসব খাবার মজার হওয়ার একটি বিশেষ কারণ হল এমএসজি (সড়হড়ংড়ফরঁস মষঁঃধসধঃব)। খেতে মজার হলেও কাজে কেমন তাও জানা জরুরি। বিশেষ করে যখন ক্ষতির পরিমাণটাই যখন বেশি! ক্ষতিকর প্রভাব জেনে নিন আজ।
এমএসজি কি?
টেস্টিং সল্ট বা স্বাদ লবণই হচ্ছে এমএসজি (সড়হড়ংড়ফরঁস মষঁঃধসধঃব) যা একটি রাসায়নিক দ্রব্য খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।
অসাধু ব্যবসায়ীরা খাবারের মানের বিচার না করে ব্যবহার করছে উচ্চমাত্রায় এমএসজি যা সস্তা কিন্তু খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে।
কোন কোন খাবারে থাকে?
নুডুলস
চিপস
স্যুপ
ফাসব্টফুড, জাঙ্ক ফুড, স্ন্যাকস, চাইনিজ ফুড
মাশরুম
সস, সয়াসস, অয়েস্টার সস
অতিরক্ত পাকা টমেটো
ইস্ট ও ইস্টের তৈরি খাবার
ইনস্ট্যান্ট সুপ মিক্স, ইনস্ট্যান্ট নুডুলস
পাস্তা, প্রভৃতি
কিভাবে ক্ষতি করে?
গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন জনপ্রিয় প্রসেসড ফুডে বিদ্যমান এমএসজি মস্তিকের হাইপোথ্যালামাসে লেপটিন রেসিসটেন্স-এর মাধ্যমে খাবারের রুচি নিয়ন্ত্রণকারী অংশের ক্ষতি করে। লেপটিন হরমোন খাওয়ার পর একজন মানুষের প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। খাবারে এমএসজি ব্যবহারের ফলে খাবার খাওয়ার পরও পেট ভরে না মনে হয় ফলে আরও খেতে চায়।
কি ক্ষতি করে?
এমএসজি খাওয়ার পরও পরিপূর্ণতা আনে না ফলে আরো বেশি খাওয়া হয়ে যায় যা ওজন বাড়িয়ে দেয়।
আমরা যে ভাবি এমএসজি খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় আসলে তা না । এটি এমন একটি ফুড অ্যাটিটিভ যা আমাদের ব্রেইনকে বোকা বানায় খাবারকে খুব সুস্বাদু ভাবিয়ে। আসলে এটি অতিরিক্ত ডোপামিন তৈরি করে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে যা ব্রেন সেলকে নষ্ট করে।
দীর্ঘ দিন ধরে এমএসজি গ্রহণের ফলে বিভিন্ন অটোইমিউন ডিজিস, লিভার ক্যান্সার, টাইপ টু ডায়াবেটিস- ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে।
কেন শিশুদের জন্য ক্ষতকর?
আজকাল বেশিরভাগ শিশু খাদ্যেই এমএসজি বিদ্যমান যা রক্তের এক্সাইটোটক্সিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে মস্তিষ্কের কোষকে ধ্বংস করে। একজন পূর্নবয়স্ক মানুষের চেয়ে শিশুর মস্তিষ্ক এক্সাইটোটক্সিনের প্রতি ৪ গুণ বেশি সংবেদনশীল অর্থাৎ ৪ গুণ বেশি ক্ষতি করে। দীর্ঘ দিন ধরে এমএসজি গ্রহণের ফলে বর্তমানে বাসায় ও স্কুলে শিশুরা , অমনোযোগী, পরীক্ষায় খারাপ ফল ও হাইপারঅ্যাক্টিভ হয়ে উঠছে। আজকাল শিশুদের মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে এ কারণে।যার ফলে গোটা জাতির ভবিষ্যৎ হুমকির পথে।
কি করণীয়?
বাসায় তৈরি খাবারে টেস্টিং সল্ট পুরোপুরি বাদ দিতে হবে।
বাইরের কেনা খাবারের চেয়ে বাসায় তৈরি খাবারের দিকে শিশুদের আকৃষ্ট করতে হবে।
প্যাকেটজাত খাবারের উপাদানসমূহ লক্ষ্য করতে হবে।
বাইরের খাবার দিতে হলে অবশ্যই দেখে নিতে হবে লুক্কায়িত এমএসজি আছে কি না।
খাওয়ার আগে রেড ক্লোভার আইসোফ্ল্যাভনস গ্রহণ করলে তা এমএসজির ক্ষতিকর প্রভাব হতে মস্তিষ্ককে রক্ষা করে।