Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

5খোলা বাজার২৪ ॥বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৫: বাংলাদেশের সামরিক খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ বলে দাবি করেছে বার্লিন-ভিত্তিক দুর্নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশাল’-টিআই।
বুধবার লন্ডন থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে টিআই জানায়, ২০১৪ সালে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৭টিদেশের প্রতিরক্ষা ব্যয়ের সম্মিলিত পরিমাণ প্রায় ৪৩৩ বিলিয়ন ডলার যা প্রতিরক্ষা খাতে বৈশ্বিক ব্যয়ের প্রায় একচতুর্থাংশ।
এই অঞ্চলের ১৭টি দেশের মধ্যে ৬টি দেশেরই প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির ঝুঁকি অতি উচ্চমাত্রা থেকে সংকটাপন্ন অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়েও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আঞ্চলিক নিরাপত্তায় হুমকির সৃষ্টি হয়েছে বলে টিআই মনে করে।
এই ছয়টি দেশ হল: চীন, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, কম্বোডিয়া এবং মায়ানমার। প্রতিবেদনে বলা হয়, এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১৭টি দেশের মধ্যে ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় সবচেয়ে নিম্ন ঝুঁকিসম্পন্ন দেশ হল নিউজিল্যান্ড। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান, জাপান এবং সিঙ্গাপুর নিজ নিজ দেশের প্রতিরক্ষা খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
প্রতিটি দেশের মূল্যায়ন সম্পন্ন হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক উক্ত মূল্যায়নের চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মতো ‘ডি’ বা উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন দেশের শ্রেণীতে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশ হল: ভারত, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া।
২০১৫ সালের এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক জিআই সূচকের সামগ্রিক মূল্যায়নের সমীক্ষায় অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা ছাড়াও বাংলাদেশ কার অংশগ্রহণ করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যয় গত এক দশকে ২০২% ভাগ বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয় যে লাদেশের প্রতিরক্ষা খাত সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে জনবল ক্ষেত্রে (সি শ্রেণিভুক্ত) এবং সবচেয়ে কম নম্বর পেয়েছে অর্থ, ক্রয় এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে।
প্রতিবেদনে অন্যান্য সুপারিশের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করা, সামরিক ক্রয় সংক্রান্ত তথ্যে জন অভিগম্যতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ও জাতিসংঘের সুবিধার্থে শান্তি ও সংঘাতের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য দুর্নীতির বিষয়গুলোর মোকাবেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক আদর্শ অবলম্বনের সুপারিশ করা হয়।