Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

6খোলা বাজার২৪ ॥বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৫: ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক চেজার তাভেল্লা হত্যায় জড়িত সন্দেহে বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমের ছোট ভাই এমএ মতিনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বুধবার রাত ১১টার দিকে যশোরের বেনাপোল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে।
তবে মতিনকে বেশ কয়েক দিন আগেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে যায় বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, তাভেল্লা হত্যায় গ্রেপ্তার মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগ্নে রাসেলের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে মতিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কূটনীতিক পাড়া গুলশানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ইতালীয় ত্রাণকর্মী চেজারে তাভেল্লা।
প্রায় এক মাস পর গত ২৬ অক্টোবর এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।
ভাগ্নে রাসেল ছাড়া অন্য তিনজন হলেন- রাসেল চৌধুরী ওরফে চাকতি রাসেল, শ্যুটার রুবেল এবং শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরীফ।
পুলিশ বলছে, সরকারকে চাপে ফেলার জন্য ‘বাংলাদেশে বিদেশিরা নিরাপদ নয়’ বোঝাতে ‘কোনো একজন শ্বেতাঙ্গকে’ হত্যা পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ঢাকার কূটনীতিকপাড়ায় তাভেল্লাকে খুন করা হয়।
কথিত এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে ‘নির্দিষ্ট টাকার চুক্তিতে’ দুই রাসেল ও রুবেল এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় এবং এই কাজে তারা শরীফের মোটরসাইকেল ব্যবহার করে বলেও পুলিশের দাবি।
এ হত্যাকাণ্ডে রাজনীতিকদের কেউ কেউ জড়িত জানিয়ে গুলশান এলাকার সাবেক কমিশনার কাইয়ুমের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার কথা বলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে চাকতি রাসেল ছাড়া বাকি তিনজন এরইমধ্যে হত্যাকাণ্ডে ‘দোষ স্বীকার’ করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে উপ-কমিশনার মুনতাসির জানিয়েছেন।