খোলা বাজার২৪ ॥বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৫: খেলা শেষ হওয়ার সাত মিনিট বাকি থাকতে উইলিয়ানের এক ফ্রি-কিকেই হাসি ফিরেছে হোসে মরিনহোর মুখে। উইলিয়ানের সেই ফ্রিকিক যে প্রায় ভুলে যেতে বসা জয়ের স্বাদ নতুন করে এনেছে চেলসির মুখে।
ডায়নামো কিয়েভ খুব সহজ প্রতিপক্ষ ছিল না চেলসির জন্য। ম্যাচটাও সহজ হয়নি মোটেও। ৩৪ মিনিটে আলেক্সান্ডার দ্রাগোভিচের আত্মঘাতী গোলে চেলসি এগিয়ে গেলেও নিজেদের তৈরি সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার ব্যর্থতা মরিনহোর দলকে প্রায় বিপদেই ফেলে দিয়েছিল। ৭৭ মিনিটে কিয়েভ সমতা ফিরিয়ে আনেন আত্মঘাতী গোলের ‘খলনায়ক’ দ্রাগোভিচই। কিন্তু নতুন করে ‘লিভারপুল-দুঃস্বপ্ন’ জাতীয় কিছু ঘটার আগেই উইলিয়ানের গোলটি জানে পানি আনে চেলসি সমর্থকদের। সঙ্গে মরিনহোর মুখে হাসিও। ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া উইলিয়ানের ফ্রি-কিকটি কিয়েভ গোলরক্ষক আলেক্সান্ডার শোভকোফস্কিকে কোনো সুযোগই দেয়নি।
এই মৌসুমে সময় একেবারেই ভালো যাচ্ছে না হোসে মরিনহোর। দল জিতছে না, তিনিও হতাশা থেকেই কিনা জড়িয়ে যাচ্ছেন একের পর এক বিপাকে। ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের শাস্তির কারণে শনিবার প্রিমিয়ার লিগে স্টোক সিটির বিপক্ষে চেলসির ডাগ আউটে থাকতে পারবেন না। চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে অবশ্য সমর্থকেরা যথেষ্টই সমর্থন জুগিয়েছে তাঁকে। খেলার সময় গ্যালারির বিভিন্ন দিক দিয়ে নিজের নামে জয়ধ্বনি শুনে হয়তো নতুন করেই স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছেন এই পর্তুগিজ কোচ। কিয়েভের বিপক্ষে জয়টা সেই সাহস বাড়িয়ে দিচ্ছে অনেক খানিই।
ম্যাচ শেষে তাই ফুরফুরে মেজাজেই মুখোমুখি হলেন সংবাদমাধ্যমের। বললেন, এই জয় তাঁর জন্য বড় একটা স্বস্তিই। নেতিবাচক মুহূর্তগুলোকে জয় করে পাওয়া এই জয় আনন্দ দিচ্ছে তাঁকে, ‘নেতিবাচক মুহূর্তগুলোতে আমরা গুছিয়ে খেলতে পেরেছি। মানসিকভাবে শক্ত ছিলাম। জয়ের চেষ্টাটা সব সময়ই ছিল আমার দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে। এই জয়ে খুশি না হওয়ার কোনোই কারণ নেই।’ সূত্র: রয়টার্স।