Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

05-11-2015খোলা বাজার২৪ ॥বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৫: বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সুপ্রিমকোর্ট বার কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি এডভোকেট জয়নুল আবদীন বলেছেন, আজকে জাতীয় বিপ্লব সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে সিপাহী-জনতার অনন্য সাধারণ বিপ্লবের মতো স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে অভিন্ন প্লাটফর্মের অটুট ঐক্য প্রয়োজন। এ সময়ে আরও প্রয়োজন বর্ণ চোরাদের ব্যাপারে সজাগ থাকা। তিনি বলেছেন, ৭নভেম্বরের পর জাতি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছিল। আজ আবারো গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত চলছে। গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আজ প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ লড়াই।
এডভোকেট জয়নুল আবদীন আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ূন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বিএনপি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডবোকেট আবদুস সামাদ আযাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, মোঃ রফিক শিকদার, সাংবিধানিক অধিকার ফোরামের সভাপতি বাবু সুরঞ্জন ঘোষ, জিনাফ সভাপতি মিয়া মোঃ আনোয়ার হোসেন, কে.এম. রাকিবুল ইসলাম রিপন, এবিএম আবুল কালাম রিপন, মোঃ জসীম উদ্দিন মজুমদার প্রমুখ।

এডভোকেট জয়নুল আবদীন বলেছেন, সরকার বিরোধী রাজনীতির কন্ঠরোধ করতে গিয়ে বিদেশীদের কাছে নিজের দেশকে জংগীবাদী রাষ্ট্র হিসাবে প্রমান করার আত্মঘাতি খেলা খেলতে গিয়ে নিজেই বিপদে ঠেলে দিয়েছে জাতিকে। সরকারের অপরাজনীতির কারণে জাতিয় সংহতি বিনষ্ট করেছে, সংঘাত সৃষ্টি করে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করার চক্রান্ত করছে। সরকারের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান বলেছেন, এমন এমন এক সময়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করছি যখন নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে বাকশালী সরকার ক্ষমতাসীন। এ দেশীয় দোসরদের সহায়তায় ভিনদেশী হায়েনারা বাংলাদেশের লাল-সবুজের মানচিত্র খুবলে খেতে উদ্যত রয়েছে।

05-11-2015 (2)
ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, এ দেশের মানুষ মনে করেন স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে ১৯৭৫ সালের ৭ নবেম্বর না হলে বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্নরকম হতে পারতো। এ জন্য যতদিন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ থাকবে, এর ইতিহাসে ৭ নবেম্বর একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে থাকবে। রুশ-ভারতের অক্ষশক্তির চক্রান্তের বিরুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যগণ গর্জে উঠেছিল সেদিন। তিনি বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগষ্ট দুঃখজনক ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে অব্যাহত চক্রান্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ৭৫-এর ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে যে প্রতিরোধ সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল মওলানা ভাসানী যদি সেদিন জিয়াউর রহমানকে সমর্থন না জানাতেন তবে এ সংগ্রাম পথের মধ্যেই নিঃশ্বেস হয়ে যেত।
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ হুমায়ূন কবির বেপারী বলেছেন, ১৯৭৫ সালের সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের সার্বভৌম মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সূচনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। আজ যখন আবারো দেশকে গণতন্ত্রহীন করার ষড়যন্ত্র চলছে তখন সমগ্র জাতিকে ৭ নভেম্বরের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হবার কোন বিকল্প নাই।