
রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনের স্মরণে দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন বিএনপির মুখপাত্র ।
বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় এই দোয়া মাহফিল আয়োজন করে বিএনপি।
দোয়া মাহফিলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিপন বলেন, ‘গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা ও আইনের শাসন না থাকায় দেশে উগ্রপন্থা এখন হুমকি হয়ে উঠেছে। দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শিক্ষক, কর্মী, নেতারা সন্ত্রাসী আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। মানুষ ভয় আর উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় জাতীয় সংকট মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ সবদলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বিভেদ থাকলে চলবে না।’
গত শনিবার সন্ধ্যায় জাগৃতির প্রকাশক দীপনকে আজিজ মার্কেটে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এর কয়েক ঘণ্টা আগে লালমাটিয়ায় অপর একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শুদ্ধস্বরে হামলা চালিয়ে এর মালিক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুল এবং কবি ও ব্লগার তারেক রহিম এবং রণদীপম বসুকে মারাত্মক আহত করে দুর্বৃত্তরা।
দীপন সক্রিয়ভাবে বিএনপিতে ছিলেন না জানিয়ে রিপন বলেন, ‘তিনি (দীপন) মিছিল-মিটিং না করলেও জিয়াউর রহমানের আদর্শ লালন করতেন। বিএনপির অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সহসভাপতি ছিলেন।’
অবিলম্বে দীপনের খুনিদের ধরে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান বিএনপির মুখপাত্র।
রিপন প্রকৃত খুনিদের না ধরে অযথা ‘বিরোধী দলের’ কাধে দোষ চাপিয়ে রাজনীতি না করতে সরকারকে পরামর্শ দেন।