খোলা বাজার২৪ ॥বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৫: পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন প্রশ্নে রুল নিয়ে ৯ নভেম্বর শুনানি হবে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ শুনানির দিন ঠিক করে দেয়।
ওই তিন মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে মির্জা ফখরুলকে আপিল বিভাগের বেঁধে দেওয়া সময় ২ নভেম্বর শেষ হয়। ওইদিন আত্মসমর্পণের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নাকচ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টে রুল শুনানি করতে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।
৩ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে মির্জা ফখরুল আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন চাইলে তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
অন্যদিকে জামিন প্রশ্নে হাই কোর্টে রুল শুনানির দিন ঠিক করার জন্য মঙ্গলবার আবেদন করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা।
আদালতে ফখরুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল ফজলুল রহমান খান।
পরে সগীর হোসেন লিওন বলেন, আদালত তিন মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন বিষয়ে রুল শুনানির জন্য ৯ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন।
নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেপ্তার হন ফখরুল। এরপর নাশকতার সাত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর মধ্যে পল্টন থানায় গাড়ি পোড়ানো, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের তিন মামলায় গত ১৬ এপ্রিল হাই কোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন পান মির্জা ফখরুল। এরপর পল্টন থানার দুটি ও মতিঝিল থানার এক মামলায় ১৮ জুন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাকে জামিন দেয় হাই কোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে গেলে সেখানেও ফখরুলের জামিন বহাল থাকে।
আর পল্টন থানার ওই তিন মামলায় গত ২১ জুন হাই কোর্ট রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফখরুলের জামিন মঞ্জুর করে। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে আদালত পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড করে ফখরুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন আদালতে দেওয়ার পর ১৩ জুলাই তিন মামলায় জামিন বহাল থাকে মির্জা ফখরুলের। জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
পরদিন মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সিঙ্গাপুরে এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে যান বিএনপির মুখপাত্র।
দেশে ফেরার পর আত্মসমর্পণের আগে সময় চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন ফখরুল। দুই দফায় তাকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।
এরপর তৃতীয় দফায় তিনি একই আবেদন করলে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ ২ নভেম্বর তা নাকচ করে দেয়।
সেইসঙ্গে ফখরুলের জামিন প্রশ্নে হাই কোর্ট যে রুল দিয়েছিল, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তা নিষ্পত্তির আদেশ দেওয়া হয়।