খোলা বাজার২৪ ॥শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০১৫: বিশ্বকাপ দলে ছিলেন না। এনামুল হকের চোটে হঠাৎই ডাক পেলেন ইমরুল কায়েস। হুট করে উড়ে যেতে হলো অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু ক্রিকেটের বড় মঞ্চে হাসেনি ইমরুলের ব্যাট। তিন ম্যাচে করলেন মাত্র ৯ রান। বাদ পড়লেন ওয়ানডে দল থেকে।
এবার চোটের কারণে ছিটকে পড়লেন সৌম্য সরকার। আবারও আকস্মিকভাবে ডাক পেলেন ইমরুল। তবে এবার সুযোগটা কাজে লাগাতে চান বাঁহাতি ওপেনার, ‘এটা আমার জন্য বিরাট সুযোগ। বিশ্বকাপের পর খুব একটা সুযোগ হয়নি খেলার। জাতীয় লিগ থেকে এ ম্যাচ, ভালো ছন্দে আছি। এখন সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’
জাতীয় লিগে খুলনার হয়ে নিয়মিতই কথা বলেছে ইমরুলের ব্যাট। শেষ দুই ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি। ফিফটি এসেছে কাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও। টেস্টে এ বছর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানও ইমরুলের। ৫ টেস্টে ১ সেঞ্চুরি ২ ফিফটিতে ৫৪.৮৫ গড়ে ৩৮৪ রান।
বড় সংস্করণে যতই পারফর্ম করুন, সীমিত ওভারে সুযোগ মেলেনি একবারও। গুঞ্জন ছিল, জিম্বাবুয়ে সিরিজে সৌম্য না খেলতে পারলে তাঁর জায়গায় সুযোগ পেতে পারেন এনামুল। শেষ পর্যন্ত সুযোগটা পেলেন ইমরুল। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের যুক্তি, ‘ইমরুল নিয়মিত টেস্টে খেলছে। ভালো পারফর্মও করেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভালো খেলেছে। আজও (কাল) আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছে। এনামুল অবশ্য দীর্ঘদিন দলের বাইরে। যেহেতু ইমরুল টেস্টে ভালো খেলছে, আমরা দেখতে চাই সে ওয়ানডেতে কেমন করে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে এনামুল-ইমরুল ওপেন করতে নেমে ফিফটি করেছেন দুজনই। না, নিজেদের মধ্যে কোনো ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ ছিল না বলেই দাবি করলেন ইমরুল, ‘এ ম্যাচে ভালো খেললে ওয়ানডে দলে সুযোগ পাব, এমন কিছু মাথায় ছিল না। বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে দলে না থাকায় চেষ্টা ছিল উন্নতি করার। নিজের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করেছি। এভাবে ব্যাটিং করলে আশা করি আরও সাফল্য পাব।