খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৫: প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যার ঘটনায় ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা থেকে গত মঙ্গলবার মুফতি জাহিদুল হাসান মারুফ (২৪) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি। তবে নাম প্রকাশ না করে পুলিশের একজন কর্মকর্তা মারুফকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মারুফ ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের উত্তর তারাকুছা গ্রামের মুফতি হাবিব উল্যার ছেলে। তিনি আমজাদ হাট এলাকার স্থানীয় জামেয়া আরাবিয়া আহসানুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার সহকারী শিক্ষক।
মারুফের বাবা বলেন, গত মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা মহানগর পুলিশের শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী কিছু লোক তাঁদের গ্রামের বাড়ি থেকে মুফতি জাহিদকে আটক করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। গত বুধবার রাতে ঢাকার মিন্টো রোডে ডিবি পুলিশের তত্ত্বাবধানে থেকে ছেলে জাহিদ মুঠোফোনে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলে দোয়া চেয়েছেন।
মুফতি হাবিব উল্যা বলেন, তাঁর তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মুফতি মাহমুদুল হাসান মাছুম নোয়াখালীর সোনাপুর এলাকায় হাজিরহাট মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ছোট ছেলে ফেনীর ছাগলনাইয়ার আজিজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। তিনি নিজেও কোনো রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। তাঁর তিন ছেলেরও কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। তাঁর ছেলে জীবনেও ঢাকায় যাননি। শুধু গত রমজানে মেজ ছেলে মুফতি জাহিদুল হাসান মারুফ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি নানুপুর মাদ্রাসায় এতেকাবে যান।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, মুফতি হাবিব উল্যা বেশ কয়েক বছর আগে এলাকায় জামেয়া আরাবিয়া আহসানুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা নামে একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ছেলের লেখাপড়া শেষে তাঁকেও ওই মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।
আমজাদ হাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, তিনি ওই পরিবারকে জানেন এবং ছেলেকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পর তাঁদের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জেনেছেন। এলাকায় পরিবারটিকে ধার্মিক পরিবার হিসেবে জানে সবাই।