Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

9খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৫: ভোটের অধিকারের’ দাবিতে কর্মীদের ‘মাঠে নামার’ আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সময় এসেছে, আবার জাগতে হবে। যে উচ্ছ্বাস, যে উদ্দীপনা আজ আপনারা দেখিয়েছেন সময় দিনক্ষণ বুঝে, মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য বিএনপি নেত্রী সময় বুঝে যখন ডাক দেবেন এমনিভাবেই রাজপথে নামতে হবে।”
“রাজপথ ছাড়া দাবি আদায়ের কোন পথ নেই। মুক্তিযুদ্ধ, সিপাহি জনতার বিদ্রোহ, স্বৈরশাসক বিরোধী আন্দোলনসহ কোনো আন্দোলনই রক্ত ছাড়া সফল হয়নি। প্রয়োজনে রক্ত দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
সরকারের সমালোচনা করে খন্দকার মাহবুব বলেন, “আজকে সরকার কথায় কথায় বলে বিএনপির সব নেতাকর্মী জঙ্গি; আমাদের নেতারা মানুষ খুন করছেন! আর এ কারণে লাখ লাখ জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাসীরা আজ জেলখানায়, নতুবা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।”
“কোথায় মির্জা ফখরুল ইসলাম, কোথায় রিজভী আহমেদ? কী তাদের অপরাধ? অপরাধ একটিই, বাংলাদেশের মানুষ এই ভোটারবিহীন নির্বাচনে ক্ষমতা দখলকারী সরকারকে স্বীকার করে নিচ্ছে না। আমি বলে দিচ্ছি কোন দিনও নেবে না।”
‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সারা দেশের মানুষ আজ আতংকিত, কখন কার বিরুদ্ধে মামলা হবে। মামলা হামলার ভয়ে শহীদ জিয়ার সৈনিকদের আপনারা (সরকার) নিভৃত করতে পারবেন না।”
সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সম্মেলন ডাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে ভয় পায়, এ কারনে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করে দিয়ে তারা নির্বাচন করতে চায়।”
“মামলা হামলা করে হলেও বিএনপি যেন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় না। বিএনপি নির্বাচনের দল।”
বিএনপি চেয়ারপারসের আরেক উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “শেখ হাসিনা নির্বাচনকে ভয় পান, রাজনীতিকে ভয় পান বলেই বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নিপীড়ন চলছে।”
“অসংখ্য নেতা হয় জেলে না হয় পলাতক। তারা নাকি বড় ভাই হয়ে গেছেন। যে মুহূর্তে আমরা বলেছি নির্বাচনে অংশ নেব তখনই বিএনপি মহাসচিবকে ধরে জেলে পাঠানো হল।”
হামলা-মামলার রাজনীতি পরিহার করে নির্বাচনের রাজনীতিতে ফেরার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির হোসেনের নেতৃত্বে সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা আলোচনায় অংশ নেন।