Mon. May 5th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

32খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৫: প্রেমে পড়তে চায় না, এমন বেরসিক কজন আছে এ পৃথিবীতে? ব্যাটসম্যানরাও নিশ্চয় প্রেমে পড়েন। তবে ওই ‘পেয়ারে’র কথা বলবেন না প্লিজ। ওটা শুনলেই তাঁদের মুখটা শুকিয়ে এতটুকু হয়ে আসবে!
টেস্টে দুই ইনিংসেই শূন্য পাওয়ার নামই ক্রিকেটের পরিভাষায় ‘পেয়ার’। শূন্যের জোড়া। পাশাপাশি দুটো শূন্য থাকে বলে ‘চশমা’ বলেও ডাকতে পারেন। মোহালি টেস্টে সেই পেয়ার পেলেন শিখর ধাওয়ান। প্রথম ইনিংসে ৪ বল খেলে শূন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে বল খেললেন আটটি, রানের জায়গায় ওই ডিম্বই।
টেস্ট ক্যারিয়ারে এই প্রথম পেয়ারের স্বাদ পেলেন ধাওয়ান। যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই সেটি লজ্জার। তবে পেয়ার পাওয়ার তালিকায় চোখ রাখলে স্বস্তি পেতেই পারেন ভারতীয় ওপেনার।
সবচেয়ে বেশি পেয়ার ‘শূন্যের রাজা’ ক্রিস মার্টিনের, সাতবার। মার্টিন অবশ্য অভিমানের সুরে বলতে পারেন, ‘আমি শূন্যের রাজা হলে কোর্টনি ওয়ালশ কী?’ টেস্টে সর্বোচ্চ ৪৩টি ডাক মারা ক্যারিবীয় কিংবদন্তির পেয়ার অবশ্য ‘মোটে’ চারটি। চারটি করে পেয়ারের মালিক আছেন আরও কজন—ভগবত চন্দ্রশেখর, মারভিন ডিলন, মারভান আতাপাত্তু ও মুত্তিয়া মুরালিধরন।
বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে মঞ্জুরুল ইসলামের নামটাই পাওয়া যাবে দুইয়ের বেশি চশমা পাওয়ার রেকর্ডে। বাংলাদেশ দলের সাবেক এ বাঁহাতি পেসার পেয়ার নিয়ে ফিরেছেন তিনবার। তবে পেয়ারের​ রাজা ‘কিং পেয়ার’ পাওয়ার তালিকাতেও আছেন এক বাংলাদেশি—জাভেদ ওপর। প্রথম বলেই আউট হওয়াকে বলে গোল্ডেন ডাক। আর কোনো ব্যাটসম্যান যদি দুই ইনিংসেই প্রথম বলে ডাক মারেন, সেটিকে বলে কিং পেয়ার। কিং পেয়ারের ‘কীর্তি’ অবশ্য অ্যাডাম গিলক্রিস্ট কিংবা বীরেন্দর শেবাগেরও আছে।
গ্রাহাম গুচ, মারভান আতাপাত্তু কিংবা সাঈদ আনোয়ারের মতো ব্যাটসম্যানও কিন্তু টেস্ট ​ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন পেয়ার দিয়ে। অভিষেক টেস্টে দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার সেই যন্ত্রণা ভোগ করেছেন বাংলাদেশের আলমগীর কবিরও। আর টেস্ট অধিনায়কদের পেয়ারের রেকর্ড নিয়ে বিজয় হাজারে, রিচি বেনো, ফ্রাঙ্ক ওরেল, ইয়ান বোথাম, অ্যালান বোর্ডার, নাসের হুসেইনদের সঙ্গে আছেন হাবিবুল বাশার।