খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৫: পার্কে খোলামেলা যায়গায় সেক্স বা অধিক মেলামেশা এটা আমাদের জন্য লজ্জাকর বিষয়। কিন্তু এখন বাংলদেশ সংস্কৃতির দেশ। পশ্চিমা সংস্কৃতিতে এও সম্ভব বাংলাদেশে। আসলেই কল্পনাতিত ঘটনা, তরুন-তরুনীরা পর্নতারকাদের মতো। একদিন সেখানে ঘুরতে গিয়ে দেখা যায় একটা করে বেঞ্চ, একটা করে ছাতা আর দুটো করে মানুষ। টাইটানিক ছবির লিও-ক্যাট ওখানে নিশ্চিত ফেল। অন্যদিকে একটু ঝোপের আড়ালে দুজন ব্যস্ত দেহ সুখের আশায়। অথচ পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আমার আপনার মত কেউ না কেউ। এদের শেষ কোথায় বলতে পারেন? তাদের কে বলছি আপনারা থামবেন কবে বলতে পারেন? আপনাদের কে দেখে আমাদের আগামী প্রজন্ম কি শিখতে পারে? একই অবস্থা রমনা, চন্দ্রিমা উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলদা গার্ডেনসহ ঢাকার প্রায় সব পার্কের। এসব স্থানের জোড়ায় জোড়ায় কপোত-কপোতিদের একান্ত বৈঠক দেখলে মনে হয়, সরকার ঐ এলাকাকে বোধহয় প্রাকৃতিক চিড়িয়াখানা ঘোষণা করে স্বামী-স্ত্রীদের ছেড়ে দিয়েছেন।
কিন্তু এই খোলা পার্ক গুলিতে গেলে মনে হবে, সরকার এই স্পটটি তৈরি করেছেন ডেটিংয়ের জন্য। মাঝে মাঝে এমন আপত্তিজনক অবস্থায় তাদের দেখা যায়, যা বাসার বেড রুমকেও হার মানায়।
আইসিডিডিআরবি পরিচালিত এক গবেষণা জরিপ থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের শহুরে তরুন-তরুনীদের ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই যৌন অভিজ্ঞতা হচ্ছে।
প্রায় ৮০ শতাংশ তরুন-তরূনী পরোক্ষভাবে প্ররোচিত হয়ে যৌনকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন। এদের এক তৃতীয়াংশ আবার লিপ্ত হচ্ছেন দলগত যৌনকর্মে।
মোবাইল, কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের অবৈধ ব্যবহারের কারণে আমাদের যুব সমাজ খুব দ্রুত চরিত্রহীন হয়ে পড়ছে। যুবক-যুবতীদের হাতের হ্যান্ডসেট পরিণত হয়েছে পর্নোগ্রাফির ভান্ডারে। কয়েকমাস আগে ঢাবি পরিচালিত স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি উদ্ধার করা হয়েছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক মিনি পতিতা গড়ে ওঠার কথা সচেতন মহলের অজানা নয়। এই অবস্থায় সচেতন মহল নোংরা এই পরিবেশ বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়ছেন। নয়ত সভ্য সমাজের পতন ঠেকানো যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন তারা।